‘ব্যাংক ও শেয়ারবাজার লুটেরাদের বিচার করা হবে’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষিত ইশতেহারে ‘দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন’ সম্পর্কিত বিভিন্ন সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই সরকারের আমলের দুর্নীতির তদন্ত করে তার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে এবং সংবিধান নির্দেশিত সব দায়িত্ব পালনে ন্যায়পালকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে।
দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারে সরকারের অনুমতির বিধান (সরকারি চাকুরী আইন-২০১৮) বাতিল করা হবে।
অর্থ পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্তমানে চলমান কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করা হবে না। কিন্তু, বর্তমান সরকারের শেষ দুই বছরে তড়িঘড়ি করে নেওয়া প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনা করার জন্য কমিটি গঠন করা হবে। বর্তমানে চালু থাকা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ব্যয় নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ব্যাংকগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হবে।
সরকারি মদদে শেয়ার বাজারে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সঠিক ব্যবস্থা এবং প্রণোদনার মাধ্যমে শেয়ার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে শেয়ার বাজারকে তার সঠিক গতিপথে নিয়ে যাওয়ার সব ব্যবস্থা খুব দ্রুত নেওয়া হবে।
দেশের ক্রীড়া সংস্থা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতির বাইরে পেশাগতভাবে গড়ে তোলা হবে।
ভিন দেশীয় ক্ষতিকর সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে নাগরিকদের রক্ষা করায় দৃঢ় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষা এবং প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে ট্রুথ কমিশন
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে ‘দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন’
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্যসহ নানা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি
Comments