‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকা’
দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সংস্কারের কথা ইশতেহারে তুলে ধরেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর ‘জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দুই বছরের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকা করা হবে। গার্মেন্টসসহ অন্যান্য সকল শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
সকল খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হবে।
কৃষি উৎপাদনকে লাভজনক পেশায় পরিণত করার লক্ষে উৎপাদন খরচের সাথে যৌক্তিক মুনাফা নিশ্চিত করে সকল কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারিত হবে স্থানীয় সমবায় সমিতির মাধ্যমে।
শ্রমিক ও ক্ষেতমজুরসহ গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ মূল্যে রেশনিং চালু করা হবে।
কৃষি ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়িয়ে সার বীজ এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা হবে।
জলমহাল এবং হাওরের ইজারা সম্পূর্ণ বাতিল করে মৎস্যজীবী ও দরিদ্র জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
বয়স্ক ভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতার পরিমাণ এবং আওতা বাড়ানো হবে।
পুনর্বাসন ছাড়া শহরের বস্তিবাসী ও হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না।
স্বাস্থ্যবীমার মাধ্যমে শ্রমিকদের মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়ামের মাধ্যমে সকল চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।
সরকারি পর্যায়ে কর্মজীবী নারীদের সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। বেসরকারি ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করার ক্ষেত্রে খুব সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
একবছরের মধ্যে মানুষকে ভেজাল ও রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ খাদ্য পাবার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
Comments