ড. কামালের গাড়িবহরে হামলায় ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ব্যাপারে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারিকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের একজন যুগ্মসচিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ড. কামালের গাড়িবহরে হামলার ব্যাপারে তদন্ত করে আইজিপিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলাকারীদের শাস্তি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
গত শনিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানিয়েছিলেন।
সেদিনই সিইসি কে এম নুরুল হুদা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ড. কামালের বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি একজন সিনিয়র সিটিজেন এবং প্রখ্যাত লোক। এটি কাম্য নয়। তার ওপর হামলার ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে। যেভাবে ব্যবস্থা হয়, সেটা হবে।
ড. কামালের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার দারুস সালাম থানায় মামলা করেন ঢাকা-১৪ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক। মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৪ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
‘হামলা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেরসহ বিরোধী প্রার্থীদের ওপর অব্যাহত হামলার অভিযোগের মধ্যেই গতকাল ড. কামাল অভিযোগ করে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগের কথা বলেছিলেন তিনি।
‘দুঃখজনক হলেও সত্য, ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সমর্থক, প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। অনেকে গুলিবিদ্ধও হচ্ছেন। কিন্তু এসব ঘটনার পরে কোনো তদন্ত হয় না, আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হয় না,’ বক্তব্য ড. কামালের।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ড. কামালের গাড়িবহরে যা ঘটেছিল
শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বের হওয়ার সময় ড. কামালের গাড়িবহরে হামলা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাসদের আ স ম আবদুর রব, রেজা কিবরিয়া, বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আবদুস সালাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে তখন সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের গাড়িবহরে হামলা চালান। এসময় প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে ঘটনায় ড. কামাল নিজে আহত হননি।
Comments