‘মানুষ বলছে- ভাই টাকা দিবেন না?’

নোয়াখালী-৫ আসনে বাসদ মনোনীত বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী সিরাজউল্যাহ সিরাজ বলেন, “আমি যেখানেই যাচ্ছি, লিফলেট দিচ্ছি মানুষ বলছে- ভাই টাকা দিবেন না? এ কথাটা আমাকে অধিকাংশ লোক বলছে।”
Siraj
নোয়াখালীতে শহীদ মিনারের সামনে সিরাজউল্যাহ সিরাজ। ছবি: রাফিউল ইসলাম

নোয়াখালী-৫ আসনে বাসদ মনোনীত বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী সিরাজউল্যাহ সিরাজ বলেন, “আমি যেখানেই যাচ্ছি, লিফলেট দিচ্ছি মানুষ বলছে- ভাই টাকা দিবেন না? এ কথাটা আমাকে অধিকাংশ লোক বলছে।”

“তাহলে কী দাঁড়ালো?”- এমন প্রশ্ন রেখে উত্তরে তিনিই বলেন, “দাঁড়ালো (এই যে)- এই দুটা দল মানুষকে টাকা দিয়ে, মানুষকে অনৈতিক শিক্ষা দিয়ে, অপরাজনীতি দিয়ে মানুষের চরিত্রটাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে এখন একজন ভালো মানুষ হেঁটে গেলেও তারা মনে লোকটা টাকা নিয়ে এসেছে।”

এর জন্যে সিরাজ জনগণকে দোষ দিতে চান না। তার মতে, “এদের চরিত্রটা ওরা নষ্ট করে দিয়েছে। ওদের চরিত্র বলে তারা কিছু রাখে নাই। তারা সমাজে এমন ধস নামিয়েছে যে, ধস নামতে নামতে সমাজ শেষ হয়ে গেছে।”

দ্য ডেইলি স্টারকে সিরাজ জানান, তিনি সবাইকে বলেছেন যে তার টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তিনি পোস্টার করেছেন ২৫ হাজার টাকার। এবং নির্বাচনের যে মোট খরচ দেড় থেকে দুই লাখ টাকা তা তিনি নিয়েছেন বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা আসলে এই চর্চা করি না। যদি টাকা দিয়ে কেউ ভোট নেয় তার মানে সেই প্রার্থী সেখানে বিনিয়োগ করছে। তারা যদি নির্বাচিত হয় তারা জনগণের টাকা দিয়েই ব্যবসা করবে। তাদের টাকা শুষে নিবে।”

“এই অবস্থা থেকে সমাজকে উদ্ধার করতে হবে। এতে সময় লাগবে, দেরি হবে। আমার জীবদ্দশায় নাও হতে পারে। কিন্তু, এটাই সত্য যে সমাজকে উঠিয়ে আনতে হবে এই দুর্বৃত্তের রাজনীতি থেকে। দুর্বৃত্তের রাজনীতি যতোদিন থাকবে ততদিন এই সমাজে মানুষ মানুষ হিসেবে থাকবে না,” যোগ করেন এই সাবেক ছাত্রনেতা।

তার নির্বাচনী আসনে অন্য প্রার্থীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনে কাউকে হেভিওয়েট মনে করি না। আমি মনে করি, ওবায়দুল কাদের একজন মানুষ, মওদুদ আহমেদ একজন মানুষ, আমিও একজন মানুষ।”

আরও পড়ুন:

নোয়াখালী-৪ আসনে প্রচারণায় শুধু আওয়ামী লীগ

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago