কুলাউড়ায় নৌকার অফিসে আবারও হামলা: আহত ৬
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের মহাজোটের প্রার্থী এম এম শাহীনের নৌকা প্রতীকের দুটি নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মৌলভীবাজার-২ আসনের ভূকশিমইল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় বাজারে ধানের শীষ প্রতীকের জনসভা শেষে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ নৌকা সমর্থকদের। হামলাকারীদের আক্রমণে নৌকার ৬ নেতা-কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার ওসি তদন্ত সঞ্জয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
ভূকশিমইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাঙ্গির আলম জানান, এ সময় অফিসে বসা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শিবলু মিয়া ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবাদুর রহমানসহ ৬জন নৌকার নেতা-কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মনি মিয়া (২০), ছোট (১৯), রাজু আহমদ (২০)-কে কুলাউড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সফি আহমদ সলমান জানান, “বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ভূকশিমইলে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সুলতান মো. মনসুর সমর্থনে জনসভা চলছিলো। জনসভা চলার কারণে আমরা স্থানীয় (নৌকার নেতা-কর্মীরা) অফিসে ছিলাম না। নৌকার ৮/১০জন সমর্থক অফিসে বসা ছিলেন। সুলতান মনসুরের সমাবেশ শেষে তার নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে এসে অতর্কিতভাবে নৌকার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।”
তিনি বলেন, “হাজিপুর ইউনিয়নের মনু বাজারে রাত দশটার দিকে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়েও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।”
যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বদর বলেন, “জামাত-শিবিরসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।”
কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জুনেদ বলেন, “বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। কোন হামলার পক্ষপাতী নয়। এটা আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত ঘটনা- যার দায় আমাদের দিতে চাচ্ছে।”
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মূসা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “হাজীপুরের মনু বাজারে ও ভূকশিমইলের নবাবগঞ্জে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে।”
এর আগে, ১৬ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়ায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানায়, বেশ কয়েকজন ধানের শীষের মিছিল করে এসে কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া নৌকার অফিসে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর চালায়। তবে তদন্তের স্বার্থে হামলাকারীদের নাম জানায়নি পুলিশ।
Comments