আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ছে বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচন থেকে ততোই ছিটকে পড়ছে বিএনপি’র নেতারা। সর্বশেষ, গতকাল (২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের নির্দেশে দলটির পাঁচজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
হাইকোর্ট এসব নেতাদের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন কারণ সরকার উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) রয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কেউ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
বিএনপি’র যে পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন তারা হলেন: জামালপুরে-৪ আসনের ফরিদুল কবির তালুকদার, জয়পুরহাট-১ এর ফজলুর রহমান, ঝিনাইদহ-২ এর আব্দুল মজিদ, রাজশাহী-৬ এর আবু সাইদ চান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ এর মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন।
এর ফলে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫টিতে বিএনপি’র কোনো প্রার্থী থাকলো না।
এছাড়াও, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থীকে একই কারণে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
জামায়াতে ইসলামীর যে ২২জন প্রার্থী বিএনপি’র ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের ভাগ্যও নির্ধারণ করা হবে আগামী সোমবারের (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে সেসব আসনে বিকল্প প্রার্থী বেছে নেওয়ার অথবা সেসব আসনে নির্বাচনের তারিখ পুনর্নিধারণের জন্যে গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা’র কাছে দেওয়া এক চিঠিতে ইসি’র কাছে আর্জি জানিয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে তাদের বিকল্প প্রার্থী বেছে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।
চিঠি দিয়ে আসার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো প্রার্থী মারা গেলে সেই আসনে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।… আদালত কাউকে অযোগ্য ঘোষণা করলে তা তো মৃত্যুরই সামিল।”
“কমিশনের উচিত সেসব আসনে নির্বাচনের তারিখ পুনর্নিধারণ করা,” যোগ করেন বিএনপি নেতা। বিএনপি এবং ঐক্যজোটের প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করাকে তিনি ক্ষমতাসীন দলের আবারো ক্ষমতায় আসার একটি দুরভিসন্ধি বলেও মনে করেন।
Comments