বিদেশি পর্যবেক্ষক ইস্যুতে হতাশ যুক্তরাষ্ট্র

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড়পত্র ও ভিসা প্রদান করে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আসতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি হতাশা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
department of state logo

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড়পত্র ও ভিসা প্রদান করে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আসতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি হতাশা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল (২১ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র রবার্ট পাল্লাদিনো এ হতাশা ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকারের এমন আচরণের ফলে ব্যাংককভিত্তিক আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন (এনফ্রেল) তাদের আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়েছে।”

ওয়াশিংটনভিত্তিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) এর মাধ্যমে এনফ্রেলকে অর্থায়ন করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের অভাবের ফলে বাংলাদেশ সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো স্থানীয় এনজিওগুলোর মাধ্যমে একটি নির্বাচনী ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা। এর মধ্যে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত এনজিওগুলোকেও রাখতে হবে, যাতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি তারা পরিচালনা করতে পারে।

সেখানে আরও বলা হয়, যেকোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য শান্তিপূর্ণ মতামত প্রদান ও সমাবেশ করার সুযোগ থাকতে হবে। স্বাধীন গণমাধ্যমকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করতে দিতে হবে। প্রার্থীদের তথ্য জানার অধিকার আছে এবং কোনো ধরনের ভয়, হয়রানি ও সহিংসতা ছাড়াই তারা যেনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।

“প্রত্যেক বাংলাদেশি যাতে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারেন, সে ব্যাপারে তাদের গণতান্ত্রিক অঙ্গীকারকে যথাযথভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করছি।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago