‘পেজ এবং অ্যাকাউন্টগুলোর ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক নিউজ বা ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরকারের তৎপরতা দৃশ্যমান। বড় বাজেটের অনেকগুলো প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন সরকারের একাধিক সংস্থা। অনেককে গ্রেপ্তার, কিছু নিউজ সাইট বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনা দৃশ্যমান হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে দেখা গেছে সরকারবিরোধী প্রচারণাকে কারণ দেখিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এবার সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া পেজ বানিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নয়টি পেজ এবং ছয় ব্যক্তির ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও, আরেকটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বন্ধ করেছে বাংলাদেশের ১৫টি অ্যাকাউন্ট।
ফেসবুকের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইশারের বরাত দিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর বার্তা সংস্থা এপি জানায়- বন্ধ করে দেওয়া পেইজ এবং অ্যাকাউন্টগুলোর ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এসবের মাধ্যমে সরকারবিরোধীদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছিলো।
বহুল প্রচারিত বিবিসি বাংলা, নিউজদিনরাত২৪ডটকম এবং অনলাইন নিউজপোর্টাল বিডিনিউজ২৪ডটকম-এর পেজের আদলে ফেসবুকে পেজ সাজানো হয়েছিলো। এসব সাইটে মূলত কারাবন্দি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হতো।
বার্তা সংস্থাটিকে গ্লেইশার বলেন, “এগুলো দেখতে সংবাদমাধ্যমগুলো আসল ওয়েবসাইটের মতো দেখালেও প্রকৃত বিষয় হচ্ছে এগুলো নকল সাইট। এখানে সরকারের পক্ষে থেকে বিরোধীদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছিলো।”
এসব সাইট নিয়ে ফেসবুক তদন্ত শুরু করে গত নভেম্বরে। গোয়েন্দা সংস্থা ‘গ্র্যাফিকা’র কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর গত ২০ ডিসেম্বর পেজগুলো বন্ধ করে দেয় ফেসবুক।
যদিও এসব পেজ খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়নি তবুও ফেসবুকের হিসাবে একটি সাইটের অনুসারী ছিলো ১১ হাজার ৯০০। গ্লেইশারের মতে, “যদিও বাংলাদেশে এদের নেটওয়ার্ক খুব ছোট ছিলো কিন্তু, আমাদের কাছে তা গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক চায় না কোনো মানুষ বা সংগঠন তাদের কাজের মাধ্যমে কাউকে ভুল পথে পরিচালিত করুক।”
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) বার্তা সংস্থাটিকে টেলিফোনে জানায়, তারা নিয়মিত ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কেউ যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে ব্যবহার করে দেশের আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে।
অপর জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার জানায়, বাংলাদেশে তারা ১৫টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। তবে সেসব অ্যাকাউন্টের অধিকাংশের অনুসারী ৫০-এর কম। সংক্ষিপ্ত এক বার্তায় টুইটার জানায়, “আমাদের প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে এসব অ্যাকাউন্টের কোনো কোনোটির সঙ্গে সরকারিকাজে নিয়োজিত ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।”
Comments