সেনাবাহিনী নামায় মানুষের মনে প্রত্যাশা অনেক অনেক বেড়েছে: এম সাখাওয়াত হোসেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সেনাবাহিনী নামায় মানুষের মনে প্রত্যাশা অনেক অনেক বেড়েছে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সেনাবাহিনী নামায় মানুষের মনে প্রত্যাশা অনেক অনেক বেড়েছে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তার মতে, মানুষ ভাবছে যে এখন আর মারামারি হবে না। তিনি বলেন, “কিন্তু, সেনাবাহিনী রয়েছে এক জায়গায় আর মারামারি হলো আরেক জায়গায়। তাহলে কি করা যাবে? আমি মনে করি, সামরিক বাহিনীর নিজস্ব একটা কমান্ডিং চ্যানেল রয়েছে। তারা সেই চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করে। কিন্তু, সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্যে। তাই, যারা তাদেরকে ডেকেছে তা কী চাচ্ছে তার ওপর সশস্ত্র বাহিনীকে নির্ভর করতে হবে।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, সমসাময়িক রাজনীতি, ঘটনা-দুর্ঘটনা ও তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের বিশেষ আয়োজন নির্বাচন সংলাপ ২০১৮ অনুষ্ঠানে আজ (২৫ ডিসেম্বর) উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। উপস্থাপনায় ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের প্ল্যানিং এডিটর শাখাওয়াত লিটন।

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে সেনাবাহিনী যেনো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে যে বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?- এমন প্রশ্নের উত্তরে এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা বলেন, “আমার পরামর্শ হলো নির্বাচন কমিশন যদি চায় তাহলে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র তারা দিতে পারে। সেখানে সেনাবাহিনীর কাজ সম্পর্কে বলা থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সেটি দেওয়ার সময় আছে কী না জানি না। তবে সেনাবাহিনীকে কী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কী করার কথা বলা হয়েছে, এবং সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সেগুলো দেখার বিষয়।”

তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন যে তার এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে তখন তিনি সেনাবাহিনী ডাকতে পারেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ ছাড়া কোনো অ্যাকশনে তারা যেতে পারে না। অর্থাৎ, আটক বা সাময়িকভাবে গ্রেপ্তার করা বা হাজতে নেওয়া- এগুলো কোনো কিছু করতে পারে না যতোক্ষণ পর্যন্ত একজন ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে নির্দেশ না দেন।”

“আরেকটি বিষয় হলো- সেনাবাহিনী আক্রান্ত হওয়ার অবস্থা পড়েছে তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট না থাকলে তারা একজন কমিশনড অফিসারের নেতৃত্বে অ্যাকশনে যেতে পারে। কিন্তু, এর পরপরই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হবে।”

সামরিক বাহিনীর ওপর মানুষের অনেক আস্থা থাকে কারণ তারা দলের দিকে তাকিয়ে বা কারো মুখ দেখে কাজ করবে না। তাদের নিয়মে যা রয়েছে তারা সেভাবেই কাজ করবে। এ জন্যে তাদের ওপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক অনেক বেশি, যোগ করে এই সাবেক নির্বাচন কমিশনার।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus holds brief meeting with Malaysian PM at Dhaka airport

Following the meeting, they boarded the same car to travel to the bilateral venue

2h ago