বিজয় ও আল-আমিনের সেঞ্চুরি, তাইজুলের ছয় উইকেট
দারুণ ছন্দে আছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। এবার শেষ রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রামে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষেও দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। শুরু তাই নয়, এগিয়ে যাচ্ছেন ডাবল সেঞ্চুরির পথে। একই দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের আরেক ব্যাটসম্যান আল-আমিন জুনিয়রও।
চট্টগ্রামে ব্যাটসম্যানদের দাপট চললেও সিলেটে দিনটা কেটেছে বোলারদের দাপটেই। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের তাইজুল ইসলাম দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। একাই তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেটে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগের দিন শাহরিয়ার নাফীসকে হারিয়ে ২১ রান করে দিন শেষ করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। এদিনও শুরুটা ভালো করেনি তারা। স্কোরবোর্ডে আর ২৬ রান যোগ করতেই হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের আরও দুটি উইকেট। তবে চতুর্থ উইকেটে আল-আমিনের সঙ্গে বিজয়ের জুটি বদলে দেয় সব। ১৭৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি।
দিন শেষে ২৮৩ বলে ১৫৫ রানে অপরাজিত আছেন বিজয়। তবে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ১১৯ বলে ১১০ রান করার পর ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন আল-আমিন। এরপর মেহেদী হাসানের সঙ্গেও ১১৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন বিজয়। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ৭৬ বলে ৮৪ রান করেছেন এ তরুণ। দিন শেষে ৫ উইকেটে ৪০৭ রান করেছে দলটি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৮ উইকেটে ৩৮০ রানে ব্যাট করতে নামা পূর্বাঞ্চল এদিন আরও ৪৫ রান যোগ করে। সব আকর্ষণ ছিল মাহমুদুল হাসানের দিকে। ব্যক্তিগত ৭৬ রান নিতে ব্যাটিং শুরু করা এ ব্যাটসম্যান এদিন আউট হয়েছেন ৯৬ রানে। ফলে ৪২৫ রানে শেষ হয় পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংস।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় মধ্যাঞ্চল। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয় দলটি। মাঝে ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলি ও মোশারফ হোসেন রুবেলের ৬০ রানের জুটিই ছিল সর্বোচ্চ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন মোশারফ। এছাড়া ৫১ রান আসে ওপেনার পিনাক ঘোষের ব্যাট থেকে। ৯২ রানের খরচায় ৬টি উইকেট নেন তাইজুল।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ২ রান করেছেন পূর্বাঞ্চল। রনি তালুকদার ও ইমরুল কায়েস দুই জনই ১ রানে অপরাজিত আছেন।
Comments