চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস
ম্যাচ জয়ের নায়ক যদি হন মার্কোস ভিনিসিয়াস দ্য সিলভা। তবে নিঃসন্দেহে পার্শ্বনায়ক হবেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বেশ কিছু নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন তিনি। ফলে ২-১ গোলের দারুণ জয়ে ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপ-২০১৮ এর শিরোপা ঘরে তোলে নবাগত বসুন্ধরা কিংস।
ফেডারেশন কাপের ফাইনালে এগিয়ে থেকেও আবাহনী লিমিটেডের কাছে হারতে হয়েছিল নবাগত বসুন্ধরা কিংসকে। বুধবারও শেখ রাসেলের বিপক্ষে ম্যাচের ১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় দলটি। ডান প্রান্তে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করে বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্কোস ভিনিসিয়াস।
এরপর প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বসে বসুন্ধরা। দূরপাল্লার শটে গোল পায় শেখ রাসেল। ৪৫ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে দারুণ এক গোল করেন রাফায়েল ওদোইন। তখন শঙ্কা আরও একটি ফাইনালের হার দেখতে হচ্ছে না তো কিংসদের।
শঙ্কাটা আরও বাড়ে দ্বিতীয়ার্ধে শেখ রাসেলের আরও বেশি গোছানো ফুটবলে। এ অর্ধেও বেশ কিছু আক্রমণ করে দলটি। দুই দলই দারুণ কিছু আক্রমণ করে। তবে গোলের দেখা পায়নি কেউই। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এবার ৬ মিনিটেই মতিন মিয়ার দারুণ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। ডিবক্সে ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে বাঁকানো শটে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করেন তিনি। ম্যাচের ফলাফলও গড়ে দেয় এ গোল।
তবে মাঝে বেশ কিছু দারুণ আক্রমণ করেছিল শেখ রাসেল। ২৯ মিনিটে বসুন্ধরার গোলকিপার জোকার মাথার উপর দিয়ে বল পাঠাতে চেয়েছিলেন রাফায়েল। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ফিরিয়ে দেন জিকো। চার মিনিট পর আবার ত্রাতা জিকো। এবারও ফিরিয়ে দেন রাফায়েলের শট। এরপর ৬৭ ও ৭৬ মিনিটেই দারুণ সুযোগ পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি শেখ রাসেল।
ম্যাচের ৯৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর ১০৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো বসুন্ধরা। প্রথমে মার্কোসের শট এক ডিফেন্ডার ফেরানোর পর কলিড্রেসের শট সেভ করেন শেখ রাসেল গোলরক্ষক রানা। শেষ দিকেও বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল শেখ রাসেল। তবে গোলের দেখা পায়নি। ফলে হারের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
দারুণ লড়াইয়ের পর এমন হারে শুধু হতাশাই বাড়েনি শেখ রাসেলের। বাড়ল শিরোপা খরার সময়ও। সেই ২০১৩ সালে ট্রেবল জয় করার পর আর যে কোন শিরোপার মুখ দেখেনি দলটি।
Comments