ইসরায়েলে বিনিয়োগ থেকে সরে আসছে এইচএসবিসি

স্বাধীন ফিলিস্তিনের সমর্থকদের চাপের মুখে ‘ইলবিট সিস্টেমস’ নামের একটি ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বন্ধ করতে যাচ্ছে বিশ্বখ্যাত এইচএসবিসি ব্যাংক।
ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীন ফিলিস্তিনের সমর্থকদের চাপের মুখে ‘ইলবিট সিস্টেমস’ নামের একটি ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বন্ধ করতে যাচ্ছে বিশ্বখ্যাত এইচএসবিসি ব্যাংক।

তবে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো আজ (২৮ ডিসেম্বর) জানায়, রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং মানবাধিকারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ড্রোনসহ নানা রকমের অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইলবিটে তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করতে যাচ্ছে লন্ডন-ভিত্তিক এইচএসবিসি।

মানবাধিকার সংগঠন ‘ওয়ার অন ওয়ান্ট’-এর ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে জানান যায়, ইলবিট সিস্টেমসে ৩.১ মিলিয়ন পাউন্ড (৩.৯২ মিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ ছিলো এইচএসবিসি-এর।

ইসরাইলের হাইফায় প্রতিষ্ঠিত ইলবিট-কে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাংকটির রয়েছে ৮৩১.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের (১.৫ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেনের বিখ্যাত গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোলস রয়েস এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিএই সিস্টেমস।

এছাড়াও, ইলবিটের সঙ্গে ব্যবসা রয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী এবং ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীর। এমনকি, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে টহলদারির জন্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে থাকে ইলবিট সিস্টেমস।

‘প্রথম ইতিবাচক পদক্ষেপ’

‘ওয়ার অন ওয়ান্ট’ জানিয়েছে ইলবিটে এইচএসবিসি’র বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ দেখিয়ে ২৪ হাজারের বেশি ইমেইল পাঠানো হয়েছে ব্যাংকটির কাছে।

সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ প্রচারক রিভকা বার্নাড গণমাধ্যমকে বলেন, “এইচএসবিসি প্রথম একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলো।” তার মতে, ইলবিটের সঙ্গে ব্যবসা করা মানে সংঘাত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে মুনাফা করা- যা অনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ।

তিনি জানান, এইচএসবিসি এমন আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করে যেসব প্রতিষ্ঠান সামরিক যন্ত্রপাতি তৈরি করে। আর সেই অস্ত্রগুলো বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নাগরিকদের হত্যা ও তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে ‘বিডিএস’ আন্দোলনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের সুশীল সমাজ ইসরাইলের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা ইসরাইলকে বয়কট, সেখান থেকে বিনিয়োগ ফিরিয়ে নেওয়া এবং দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধের ডাক দিয়েছে। আন্দোলনটি এখন পশ্চিমের দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে একে ‘বেআইনি আন্দোলন’ হিসেবে ঘোষণা দিতে সেসব দেশগুলোকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলের সরকার।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

13h ago