নির্বাচন বাতিলের দাবি ঐক্যফ্রন্টের

আজ (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

আজ (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সন্ধ্যায় বেইলি রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, “আমরা এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি।”

তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে এই নির্বাচন বাতিল করার দাবি জানান।

বিবৃতিতে ড. কামাল বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অতীতের শত তিক্ত ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও অনেক আশা নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, তফসিল ঘোষণার পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হবে না। মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের কিংবা গ্রেফতার করা হবে না।আপনারা অবগত আছেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর দেশব্যাপী ব্যাপক হামলায় ১৭ প্রার্থী আহত এবং প্রায় ১৪ হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন। পাইকারি হারে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে প্রায় ১১ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮ জন প্রার্থী কারাগারে থেকে নির্বাচন অংশগ্রহণ করেছেন।”

“আজ ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সমগ্র দেশবাসী যখন প্রস্তুত, তখনই আমরা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে একের পর এক খবর পাই যে, গতকাল রাতেই আওয়ামী দুর্বৃত্তরা এবং নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সহায়তায় নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখে। …নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও তার নিজ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট পাননি। তাই তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমার একার পক্ষে করার কিছু নেই।’ যদিও অত্যন্ত নির্লজ্জের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে!”

গণমাধ্যমের সম্প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “কোথাও কোনো সাংবাদিককে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারণ সিলমারার চিত্র তারা যেন ধারণ ও সম্প্রচার করতে না পারে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গণমাধ্যমকে গলাটিপে ধরতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ব্যাপারে বার বার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল আগে থেকেই।”

ড. কামালের দাবি, “দেশের প্রায় সব আসন থেকেই একই রকম ভোট ডাকাতির খবর এসেছে।ফলে এ এ পর্যন্ত বিভিন্ন দলের শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করা হোক। এ নির্বাচনের কথিত ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং সেই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনঃ নির্বাচন দাবি করছি।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago