পরাজয়ের কারণ বিরোধীদের দুর্বলতা: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদের বিভ্রান্তি এবং ভুল ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে তাদের ভরাডুবির জন্য দায়ী।
prime minister sheikh hasina
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮, গণভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদের বিভ্রান্তি এবং ভুল ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে তাদের ভরাডুবির জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, তিনি সকলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।

“এটি একটি প্রশংসাযোগ্য এবং স্বচ্ছ নির্বাচন ছিলো। কিন্তু, বিএনপি’র নিজস্ব ভুল এবং দুর্বলতার কারণেই তাদের ভরাডুবি হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা গতকাল (৩১ ডিসেম্বর) গণভবনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

তিনি বিএনপি’র নেতৃত্বের শূন্যতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এটাই ছিলো তাদের প্রধানতম দুর্বল দিক। কারণ তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া একটি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান পলাতক তারেক রহমানও বিদেশে অবস্থান করছেন। কারণ ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জনকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে।

“জনগণ জানেই না বিরোধীদলের নেতা কে, যদিও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বিরোধী ঐক্য জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাদের মূল শরিক বিএনপি,” বলেন তিনি।

তাছাড়া, তারা প্রতিটি আসনে টাকার বিনিময়ে ৪ থেকে ৫ জন প্রার্থী দিয়েছে যে কারণে দলের আসল প্রার্থী নিয়ে জনগণের মাঝে সন্দেহ দেখা দেয় এবং তাদের অধিকাংশ প্রার্থীই জনগণের কাছে ছিল অপরিচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিজয়ের আরেকটি প্রধান কারণ ছিল গত ১০ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন। দারিদ্রের হার কমিয়ে আনা এবং জনগণের জীবন-মানের উন্নয়ন এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা।

তিনি বলেন, “তারা (জনগণ) সরকারের ধারাবাহিকতা চেয়েছিলো, উন্নয়ন চেয়েছিলো যে কারণে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আমাদেরকে ভোট প্রদান করেছে।”

তবে, “আমি সকলেরই প্রধানমন্ত্রী”, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

বিবিসি’র এক সাংবাদিকের নির্বাচনের স্বচ্ছতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ব্যাপারটিই সাজানো ছিলো।”

তিনি বলেন, “এই ব্যালট ভর্তি বাক্সের ফুটেজটি ৩০ ডিসেম্বরের ছিলো না। এটি ছিল মেয়র নির্বাচনের সময়কার, যে বাক্সটি তখন ভোট গণনার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।”

শেখ হাসিনা বলেন, “যেখানেই কোন অভিযোগ উঠেছে এবং তাঁদের গোচরে এসেছে নির্বাচন কমিশন সেখানেই তৎক্ষণাৎ ভোট গ্রহণ বন্ধ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”

“আমরা কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেই না। কোন কোন জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, কিন্তু, তৎক্ষণাৎ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago