স্মিথের ব্যবহারে মুগ্ধ ইমরুল
নিষিদ্ধ যখন হয়েছিলেন তখন ছিলেন শীর্ষে। এরপর প্রায় নয় মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আছেন স্টিভ স্মিথ। তারপরও আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন এ অসি। এতো বড় খেলোয়াড় হয়েও কোন মান অহংকার নেই মনে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে এসে মিশে গেলেন দলের সবার সঙ্গে। তাই তার ব্যবহারে দারুণ মুগ্ধ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ইমরুল কায়েস।
বিপিএলের চলতি আসরে কুমিল্লার হয়ে খেলবেন স্মিথ। শুরুতে তার খেলা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হলেও পরে নতুন নিয়মে টিকে যান তিনি। গতকালই (শুক্রবার) পা রেখেছেন ঢাকায়। এর পরদিনই নেমে পড়লেন অনুশীলনে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে এদিন তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করলেন ইমরুল, ‘ও আসলে গতকাল আসছে। আমাদের সাথে এসে মনে হচ্ছে...অনেক আগে থেকে পরিচয় আছে এবং যেরকম ব্যবহার দেখাচ্ছে মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে। সে একজন পেশাদার ক্রিকেটার আমার কাছে মনে হয় সব ভালভাবে মানিয়ে নিতে পারবে। আমরা তাকে সাহায্য করবো, যতটুকু করলে আমাদের দলের জন্য ভাল হয়।’
চলতি আসরে বেশ নামীদামী খেলোয়াড়ই দলে টেনেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। স্মিথের সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার এসেছেন সিলেট সিক্সার্সে। রংপুরে আসছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো খেলোয়াড়। ক্রিস গেইল তো আগেই আছেন। আছেন অ্যালেক্স হেলসও। আর এ সকল খেলোয়াড়ের উপস্থিতিতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের বড় লাভ হচ্ছে বলে মনে করেন ইমরুল।
বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা বা খেলার উপকারিতার বর্ণনা করতে গিয়ে ইমরুল বললেন, ‘বিপিএল আসার পর থেকে আমাদের বিশেষকরে সাদা বলের ক্রিকেটের অনেক উন্নতি হয়েছে। এবং অনেক খেলা পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন ১৪০-১৪৫ গতির বল সহজেই মোকাবেলা করতে পারে যেটা আগে ছিল না। তাদের সাথে অনুশীলন করা পরবর্তী ধাপের জন্য বা জাতীয় দলে খেলা সহজ হয়ে যায়। এটা অবশ্যই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় মঞ্চ।’
স্মিথের সঙ্গে শহীদ আফ্রিদ্রিও খেলছেন কুমিল্লায়। তাদের সঙ্গে প্রথমবার খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ইমরুলও, ‘আসলে অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই খেলার অভিজ্ঞতা নাই কিন্তু খেলে ফেলা হয়। ক্রিকেট জীবনে এটা হতেই পারে। শহিদ আফ্রিদির সঙ্গেও আগে কখনও খেলিনি কিন্তু এবার খেলবো, ক্রিকেটে এমন হতেই পারে।’
Comments