সুবর্ণচরে ধর্ষিতার পাশে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

ভোট দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার নারীর পাশে থাকার কথা বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।
নির্বাচনের রাতে গণধর্ষণের শিকার নারীর সঙ্গে দেখা করে তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

ভোট দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে নির্বাচনের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার নারীর পাশে থাকার কথা বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।

আজ শনিবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দেখতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব নির্যাতিতার মাথায় হাত বুলিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তাকে বোন সম্বোধন করে অভয় দিয়ে বলেন, “আমরা তোমার পাশে আছি। তোমার কোনো ভয় নেই।”

এসময় মির্জা ফখরুলসহ উপস্থিত লোকজন অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। নির্যাতিতার স্বামী অটোরিকশা চালক বিএনপি মহাসচিবকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকীও নির্যাতিতার মাথায় হাত বুলিয়ে স্বান্তনা দেন। তারা সবাই মিলে তাকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল নির্যাতিতার স্বামী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার থেকে আওয়ামী লীগ মানুষকে বঞ্চিত করেছে তাদের প্রতারিত করেছে। এই বঞ্চিত করার পরে যেহেতু তারা জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সেজন্য তারা এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।”

“নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পর যে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে তাতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। এমনকি আমার বোন নোয়াখালীতে ধর্ষিত হয়েছেন যিনি চার সন্তানে মা। আমরা এর ধিক্কার জানাচ্ছি, তীব্রনিন্দা জানাচ্ছি। জনগনের কাছে এর বিচার দিচ্ছি।”

ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটা দেশের রাজনীতিতে একটা দীর্ঘ স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করবে। আমরা মনে করি একটা অন্ধকার যুগে প্রবেশ করল, বাংলাদেশ গণতন্ত্র বিহীন হলো, একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করার তাদের যে নীল নকশা সেদিকে তারা এগিয়ে গেলো।”

এর বিরুদ্ধে আপনারা কি করবেন সাংবাদিকদের এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ আমরা জনগনকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।”

বিএনপির নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদিন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, শামসুল আলম, মাহবুবউদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, শহিদ উদ্দিন চৌথুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, রেহানা আখতার রানু, সৈয়দ আসিফা আশরাফী পাপিয়া, শামীমা বরকত লাকী, হারুনুর রশীদ, আকবর হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান খোকা, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago