নেতৃত্বের কাঠিন্য টের পাচ্ছেন মিরাজ

প্রায় তিন বছর পর নেতৃত্বে ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে এবার আর জুনিয়র লেভেলে নয়, সিনিয়র লেভেলে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে প্রথম দিনেই টের পেয়েছেন নেতৃত্বের কাঠিন্য।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

প্রায় তিন বছর পর নেতৃত্বে ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে এবার আর জুনিয়র লেভেলে নয়, সিনিয়র লেভেলে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে প্রথম দিনেই টের পেয়েছেন নেতৃত্বের কাঠিন্য।

দিনের প্রথম ম্যাচে বেশ সংগ্রামই করেছিল দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। তাই টস জিতে ফিল্ডিং কোন ভুল করেননি মিরাজ। তার উপর দ্বিতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির ভাবনা তো ছিলই। বল হাতে নিজেই শুরু করলেন বোলিং। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি কিছুই।

শুরু থেকেই তাদের উপর চড়াও হলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের দুই ওপেনার। ইনিংসের শুরু থেকেই রাজশাহীর বোলারদের বেদম পিটুনি দেন আফগানী ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই। মিরাজের এক ওভারে তো মেরেছিলেন তিনটি ছক্কা। যে বোলারকেই এনেছেন সুবিধা করে উঠতে পারেনি। কম বেশি সবাই মার খেয়েছেন। বাদ যাননি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও। ফলে ১০ ওভারেই আসে ১১৩ রান।

আর তাতেই বুঝলেন এ সময়ে নেতৃত্ব দেওয়াটা কতটা কঠিন। সংবাদ সম্মেলনে নিজেও বললেন এ কথা, ‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আসলে বোলাররা মার খায়, কোন বোলাররাই যখন কাম ব্যাক করতে পারেনা, এটা আসলে অনেক কঠিন ছিল। দেখেন প্রায় ১০-১২ ওভার ওভার প্রভাব খাটিয়েছে। পরে আমরা চার পাঁচ ওভারে ভালো কামব্যাক করেছি। পরে ওরা আবার রান করেছে। এগুলো আসলে হয়ে যায়, যখন বোলাররা ভালো বল করে না, ব্যাটসম্যান বেশি ভালো ব্যাট করে, তখন অধিনায়কত্ব কঠিন হয়ে যায়।’

তবে রাজশাহী কিংসের দেওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে চান মিরাজ। শুরুটা খারাপ হলেও এখান থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘এটা আমার জন্য বড় মঞ্চ, প্রথমবার এমন বড় জায়গায় অধিনায়কত্ব করেছি। অবশ্যই অনেক কিছু শিখতে পেরেছি একটা ম্যাচ থেকে। আমার কোন কোন জায়গায় ঘাটতি ছিল, ভুল ছিল। এটা আসলে কিভাবে করতে হবে এটা মাথায় আরও পরিষ্কার হয়েছে।’

আর এখান থেকে শিখে নিয়ে নিজেকে পরিণত অধিনায়ক হিসেবে গড়তেও চান মিরাজ, ‘আমি আরও দুই আড়াই বছর আগে অধিনায়কত্ব করেছি। অনেক দিন পর এমন চিন্তা ভাবনা করছি। আমার যেই যেই জায়গায় ঘাটতি ছিল সেই জায়গা নিয়ে আমার সতীর্থ, কোচ, তারাও আমার সাথে আলোচনা করবে। অবশ্যই শেখার কোন শেষ নেই। এটা আমার জন্য বড় মঞ্চ, আমি এখান থেকে নিজেকে কতোটা পরিণত করতে পারি, এটাই আসলে অনেক বড়।’

অথচ বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা সাফল্যটা এসেছিল মিরাজের হাত ধরেই। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সেবার সেমিফাইনাল খেলতে পারে বাংলাদেশ। সাফল্যটা লম্বা হতে পারত আরও। সেমিফাইনালে টস জিতে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারেননি তিনি। যদিও সে সিদ্ধান্তটি তার ছিল না। নিয়েছিলেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুল।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago