মাশরাফির তোপে পাত্তাই পেল না কুমিল্লা

এভিন লুইস, স্টিভ স্মিথ, শোয়েব মালিক ও শহীদ আফ্রিদির মতো চার বিধ্বংসী বিদেশী খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নেমেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্সও কম যায়না। কারণ এ দলে আছেন ক্রিস গেইলের মতো খেলোয়াড়। একাই প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তার। এ যেন বাঘে মহিষে লড়াই। কিন্তু সে লড়াইটা আর হলো কই? একাই সব আলো কেড়ে নিয়ে পানসে করে দিলেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

এভিন লুইস, স্টিভ স্মিথ, শোয়েব মালিক ও শহীদ আফ্রিদির মতো চার বিধ্বংসী বিদেশী খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নেমেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্সও কম যায়না। কারণ এ দলে আছেন ক্রিস গেইলের মতো খেলোয়াড়। একাই প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তার। এ যেন বাঘে মহিষে লড়াই। কিন্তু সে লড়াইটা আর হলো কই? একাই সব আলো কেড়ে নিয়ে পানসে করে দিলেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

কুমিল্লার দলীয় ১৮ রানে যখন ৫ উইকেট হারায় তার ৪টি উইকেট গিয়েছে ওই মাশরাফির পকেটে। তাও টপ অর্ডারের চার উইকেট। শুরুটা করেছিলেন তামিম ইকবালকে দিয়ে। এরপর ইমরুল কায়েস, এভিন লুইস ও অধিনায়ক স্মিথকেও ফেরান তিনি। স্মিথের মতো বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান তো মাশরাফির কাটার বুঝতেই পারেননি। তার উপর ২৪ বলের ১৮টিই ছিল ডট। খরচ করেছেন মাত্র ১১ রান। যা তার ক্যারিয়ার সেরা। এমন বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর কুমিল্লার হয়ে উদ্ধার কাজে নামতে পারেননি কেউ। ফলে ৬৪ রানের লক্ষ্য ৪৮ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় মাশরাফিবাহিনী।

টানা চার ওভার বোলিং করেই থামলেন মাশরাফি। কিন্তু তাদের তোপ থামলো কই? কারণ মাশরাফির সঙ্গে এদিন পার্টিতে যে যোগ দিয়েছিলেন শফিউল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম অপুও। ফলে সবাই তখন ব্যস্ত পরিসংখ্যান ঘাটতে। কারণ শঙ্কা জেগেছিল বিপিএলের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড হওয়ার। শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা ঠেকানো গেছে। তবে চতুর্থ সর্বনিম্ন রানের বিব্রতকর রেকর্ডটি এড়াতে পারেননি তারা। দল গুটিয়ে গেছে ৬৩ রানেই।

ধারার বিপরীতে একমাত্র শহীদ আফ্রিদিই ছিলেন ব্যতিক্রম। আগের ম্যাচেও দারুণ ব্যাটিং করে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। তাই তাকে উইকেটে দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল কুমিল্লা। কিন্তু বড় ক্ষতি করার আগেই তাকে ফিরিয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু। অফস্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে ধরা পড়েন গেইলের হাতে। তবে তার ২৫ রানের ইনিংসে হয় কুমিল্লার মানরক্ষা। সবচেয়ে বড় কথা তিনিই দলের একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি পৌঁছেছেন দুই অঙ্কের কোটায়।

সাদামাটা স্কোর নিয়ে লড়াইয়ের সূচনাটা খারাপ হয়নি কুমিল্লার। গেইল ঝড় থামানো গেছে শুরুতেই। আবু হায়দার রনির অফস্টাম্পের অনেক বাইরে রাখা বলে খোঁচা মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন উইকেটরক্ষকের হাতে। কিন্তু এরপর আর সাফল্যের দেখা পায়নি তারা। ফর্মের খোঁজে থাকা মেহেদী মারুফও করেন অপরাজিত ৩২ রান। হার না মানা ২০ রানের ইনিংস খেলেন আগের ম্যাচের সেরা রাইলি রুশো। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটিতেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। রংপুর ম্যাচ জিতে নেয় ৯ উইকেটের ব্যবধানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৬.২ ওভারে ৬৩ (তামিম ৪, লুইস ৮, ইমরুল ২, স্মিথ ০, মালিক ০, বিজয় ২, আফ্রিদি ২৫, সাইফউদ্দিন ৭, মেহেদী ৬, রনি ৫, শহীদ ০*; মাশরাফি ৪/১১, গাজী ০/৭, শফিউল ২/৮, অপু ৩/২০, রেজা ১/১১, হাওয়েল ০/৬)।

রংপুর রাইডার্স: ১২ ওভারে ৬৭/১ (গেইল ১, মারুফ ৩২*, রুশো ২০*; রনি ১/১১, মেহেদী ০/২২, শহীদ ০/১০, আফ্রিদি ০/১৬, সাইফউদ্দিন ০/৩, স্মিথ ০/৪)।

ফলাফল: রংপুর রাইডার্স ৯ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাশরাফি বিন মুর্তজা।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago