সৌদি ফেরত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলা
সৌদি আরব থেকে ঢাকায় ফেরত আসা ১৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জাল কাগজপত্র দিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঢাকায় ফেরার পর এই রোহিঙ্গাদের আটক করা হয়।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আজম মিয়া জানান, জাল কাগজপত্র দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব যাওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সৌদি আরবে যাওয়ার পর এই রোহিঙ্গাদের আটক করেছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েক বছর ধরে জেদ্দার একটি বন্দীশিবিরে তাদের আটক রাখা হয়েছিল। বিমানবন্দর থানার ওসি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, অভিযুক্ত রোহিঙ্গাদের আজ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
তাদের কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ভ্রমণের কাজগপত্র অনুযায়ী আটক পাঁচ জন চট্টগ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছিল। তারা হলেন: আব্দুল মজিদ, মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সেলিম ও ওমর ফারুক। তারা সবাই চট্টগ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছিল।
এদের বাইরে ময়েন উদ্দিন বগুড়ার, বকুল ঝিনাইদহের, মোহাম্মদ মিয়া ও শামসুল আলম পাবনার, আমান উল্লাহ মাদারীপুরের, জামাল হসেন কক্সবাজারের, মোহাম্মদ অনিক কুমিল্লার ও নাজিম উল্লাহ জয়পুরহাটের ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ২টায় সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ওই ১৩ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পৌঁছায়। দেশে পৌঁছার পর তারা স্বীকার করে যে তারা রোহিঙ্গা। এর পরই তাদের আটক করা হয়।
জার্মানিভিত্তিক নে সাং লুইন নামের এক রোহিঙ্গা অধিকার কর্মী যিনি সৌদি আরবে থাকা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখেন বলেছেন, দেশটির বিভিন্ন বন্দীশিবিরে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে আটকে রাখা হয়েছে। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও না ফেরাসহ ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
Comments