যে চিন্তায় তিনে নেমেছিলেন মিরাজ

খুলনা টাইটান্সের পূঁজি ছিল সামান্য। রান তাড়ায় বড় চিন্তার কারণ ছিল না রাজশাহী কিংসের। গৎবাঁধা পথে এগুনোই হতো স্বাভাবিক। শুরুতে উইকেট হারানোর পর দেখা মিলল চমক। সৌম্য সরকার নয় ওয়ানডাউনে উঠে এলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ নিজেই। ফাটকাটা কাজেও লেগেছে বেশ। ম্যাচ শেষে জানালেন টিম ম্যানেজমেন্ট আগেই ছক কষে রেখেহিল এমনটা।
Mehidy Hasan Miraz
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

খুলনা টাইটান্সের পূঁজি ছিল সামান্য। রান তাড়ায় বড় চিন্তার কারণ ছিল না রাজশাহী কিংসের। গৎবাঁধা পথে এগুনোই হতো স্বাভাবিক। শুরুতে উইকেট হারানোর পর দেখা মিলল চমক। সৌম্য সরকার নয় ওয়ানডাউনে উঠে এলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ নিজেই। ফাটকাটা কাজেও লেগেছে বেশ। ম্যাচ শেষে জানালেন টিম ম্যানেজমেন্ট আগেই ছক কষে রেখেহিল এমনটা।

১১৮ রান তাড়ায় ১১ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর মুমিনুল হকের সঙ্গে যোগ দেন মিরাজ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৯ রান। এতেই ম্যাচের অনেকটা ফায়সালা হয়ে যায়। ম্যাচ শেষে জানালেন কীভাবে সাজানো ছিল তাদের ব্যাটিং অর্ডার, ‘তিনে নামার পরিকল্পনা ছিল ম্যানেজমেন্ট থেকে। ম্যানেজমেন্ট থেকে বলেছিল, প্রথম তিন ওভারের মধ্যে উইকেট পড়ে তাহলে আমি যাব, তা না হলে সরকার ভাই (সৌম্য) যাবে। ভালো কমিনেকেশন ছিল। পরিকল্পনা সফল হয়েছে। খুব ভালো লাগছে।’

মুমিনুল ৪৪ রানে ফিরলেও মিরাজ ৪৪ বলে করেন ৫১ রান। টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম ফিফটি। এবারের বিপিএলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার আগে ফিফটি এলো তার।

মাথার উপর রানের চাপ না থাকাটাও সাহায্য করেছে তাদের এমন উলটপালটে, ‘আসলে আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ বড় করার জন্য আমার উপরে আসা। আমার না হয় সাত আট নাম্বারে নামা হত। আমাদের বেশি রানও দরকার ছিল না। ছয়ের আশেপাশে রান রেট ছিল। ওইসময় মারার চেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট হল সিঙ্গেল নিয়ে খেলা। এর জন্যই সবাই চিন্তা করেছি।’

জাতীয় দলের হয়েও অবশ্য টপ অর্ডারে হুট করে নেমে সফল হয়েছিলেন মিরাজ। এশিয়া কাপ ফাইনালে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে চমকে দিয়েছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেও সেদিন দেন সামর্থ্যের প্রমাণ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

53m ago