চমকে দেওয়া আলিসের অ্যাকশন নিয়ে ছিল সন্দেহ!

ম্যাড়ম্যাড়ে বিপিএলে শুক্রবার ছুটির দিনে লেগেছে রঙ। পোলার্ড, রুশোদের ব্যাটে ঝড় উঠেছে, টানটান উত্তেজনা ছড়িয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস-রংপুর রাইডার্সের জম্পেশ ম্যাচ। সে ম্যাচেই আনকোরা আলিস আল ইসলাম নেমে ঘটিয়ে ফেলেছেন লণ্ডাকান্ড। অভিষেকেই হ্যাটট্রিকসহ নিয়েছেন চার উইকেট। অথচ এই অফ স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নাকি ছিল সন্দেহের তালিকায়!
Alis Al Islam
উইকেট নিয়ে আলিস আল ইসলামের উল্লাস, পেছনে সঙ্গী রুবেল হোসেনও। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ম্যাড়ম্যাড়ে বিপিএলে শুক্রবার ছুটির দিনে লেগেছে রঙ। পোলার্ড, রুশোদের ব্যাটে ঝড় উঠেছে, টানটান উত্তেজনা ছড়িয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস-রংপুর রাইডার্সের জম্পেশ ম্যাচ। সে ম্যাচেই আনকোরা আলিস আল ইসলাম নেমে ঘটিয়ে ফেলেছেন লণ্ডাকান্ড। অভিষেকেই হ্যাটট্রিকসহ নিয়েছেন চার উইকেট। অথচ এই অফ স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নাকি ছিল সন্দেহের তালিকায়!

এই ম্যাচের আগে তাকে চিনতেন হাতেগোনা কয়েকজন। এমনকি স্থানীয়  ক্রিকেটারদের মধ্যেও তিনি ছিলেন অচেনা। দ্বিতীয় বিভাগ লিগে দুই মৌসুম আর কেবল গত মৌসুম খেলেছেন প্রথম বিভাগে। প্রিমিয়ার লিগের হিসেবের মধ্যেই আসেননি, তবে এল লাফে যেখানে পৌঁছেছেন সেটা যেন তার জন্য দিবাস্বপ্নের মতোনই।

২৬ রানে হ্যাটট্রিক সহ চার উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়ে আসার পর তাকেই নিয়েই হইহই। সাধারণ এক নেট বোলার থেকে ম্যাচ সেরা তারকা বনে যাওয়া বিশাল ব্যাপারই বটে। তবে আলোর নিচে মিলছে কিছু অন্ধকারও। প্রথম বিভাগেই নাকি অবৈধ অ্যাকশনের সন্দেহজনক তালিকায় নাম উঠেছিল তার।

ম্যাচ জিতিয়ে আসার পর সংবাদ সম্মেলনেই অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন গেল তার কাছে। সরাসরি সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন বটে তবে তার অ্যাকশন নিয়ে যে তেতো আলাপ ছিল তার কথা থেকে তাও বেরিয়ে এসেছে,  ‘না আসলে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। তবে সবাই আসলে ভাবছিলেন.......(চাকিং কিনা) । না, আসলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি।’

অমন বোলিং করে যাদেরকে ঘায়েল করলেন সেই রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার কাছেও গিয়েছিল আলিসের অ্যাকশন নিয় প্রশ্ন, মাশরাফি তা এড়িয়েছেন স্বাভাবিক কৌশলে, ‘যারা টেকনিক্যাল ব্যাপারে আছে তারা বলতে পারবে ওর অ্যাকশন সম্পর্কে (বৈধ কিনা)। সে রিপোর্টেড আছে কি না। ওর বিষয়টা আমি বলতে পারবো না। টেকনিক্যাল দিকে যারা আছে তারা বলতে পারবে।’

বিসিবির মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস মনে করেন তার অ্যাকশনে সমস্যা যদি থেকেও তাকে তবে হয়ত সে শুদ্ধ হয়েই মাঠে নেমেছে।

২০১৪ সালে দেশের ক্রিকেটের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন আলিস। কাঁঠালবাগান গ্রিন ক্রিসেন্ট ক্লাব দিয়েই শুরু হয় ২২ বছর বয়সী এই অফ স্পিনারের যাত্রা। ২০১৪ সাল থেকে এরপর দুই বছর খেলেছেন দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ। সাভারের বালিয়াপাড়ার ছেলে গতবছর ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে খেলেন প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে। সেখানে সর্বোচ্চ ২৭ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

2h ago