মায়ের নাম নিয়ে জিতে গর্বিত রাজশাহী

হজরতুল্লাহ জাজাইকে বোল্ড করে ইশুরু উদানা তার জার্সির পেছনে ‘হিমা’ লেখা দেখিয়ে ছুঁড়ে দেন ভালোবাসার চিহ্ন। রনি তালুকদারকে বোল্ড করে ঠিক একইভাবে জার্সির পেছনে ‘নার্গিস’ লেখা দেখিয়ে উৎসব করেন আরাফাত সানি। জার্সিতে মায়ের নাম লিখে নামা রাজশাহীর খেলোয়াড়দের এই ম্যাচে আবেগ ছিল অন্যরকম। এমন জয় অনুমিতভাবেই তাই মায়েদের উৎসর্গ করেছে তারা। মায়ের জন্য খেলতে পেরে জানিয়েছে গর্বের কথাও।
Arafat Sunny
উইকেট পেয়ে জার্সিতে নিজের মায়ের নাম দেখাচ্ছেন আরাফাত সানি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

হজরতুল্লাহ জাজাইকে বোল্ড করে ইশুরু উদানা তার জার্সির পেছনে ‘হিমা’ লেখা দেখিয়ে ছুঁড়ে দেন ভালোবাসার চিহ্ন। রনি তালুকদারকে বোল্ড করে ঠিক একইভাবে জার্সির পেছনে ‘নার্গিস’ লেখা দেখিয়ে উৎসব করেন আরাফাত সানি। জার্সিতে মায়ের নাম লিখে নামা রাজশাহীর খেলোয়াড়দের এই ম্যাচে আবেগ ছিল অন্যরকম। এমন জয় অনুমিতভাবেই তাই মায়েদের উৎসর্গ করেছে তারা। মায়ের জন্য খেলতে পেরে জানিয়েছে গর্বের কথাও।

টানা চার ম্যাচ জিতে উড়ছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। তাদের  ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ছন্দে, বোলাররাও তাই। শক্তির বিচারে অনেকটা পিছিয়ে থাকা রাজশাহী কিংস নিশ্চিতভাবেই পিছিয়ে থেকে শুরু করেছিল খেলা। কিন্তু মাঠের খেলায় চওড়া হয়েছে তাদের হাসিই।

দলকে ম্যাচ জেতানোয় বড় ভূমিকা বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির। চার ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এক মেডেনসহ করেছেন ১৬টি ডট বল।

ম্যাচ সেরা সানি জানান ঢাকাকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে তৃতীয় জয় পাওয়া রাজশাহীর জন্য ম্যাচটি ছিল আবেগঘন, গর্বভরা, ‘মায়ের নাম নিয়ে খেলা সব সময় গর্বের বিষয়। আমরা জানতাম না (মায়ের নামের জার্সি পরা নিয়ে)।  আমাদের ম্যানেজম্যান্টের আগের থেকে একটা পরিকল্পনা ছিল এটা নিয়ে। সবথেকে বড় কথা আমরা আজকে ম্যাচটি জিতেছি। আর আজকের দিনই আমরা মায়ের নামে জার্সি পরে ম্যাচ খেলেছি। অবশ্যই সব মায়েদের প্রতি উৎসর্গ করেছি।’

‘ওপরওয়ালা আমাদের মায়েদের দোয়া কবুল করেছে বলে আমরা জিতেছি। যেহেতু ঢাকা খুব ভালো পারফর্ম করেছে। আগের সব ম্যাচে ওরা জিতেছে। এমন দলের সঙ্গে খেলাও কিন্তু চাপের ম্যাচ ছিল। আজকের দিনে বড় একটা ম্যাচ জিতেছি  তাই এটা আমাদরে বাড়তি পাওয়া।’

প্রথম দিনের মতো এদিনও উইকেট ছিল মন্থর, স্পিনাররা তাতে টার্নও পেয়েছেন বিস্তর। উইকেটের বাও বুঝে তাই ফায়দা তুলতে চেয়েছে রাজশাহী, ‘উইকেট ঢাকায় যেমন ছিল এখানেও তেমন ছিল। রান যেহেতু কম ছিল তাই আমাদের ফোকাস ছিল লাইন টু লাইন বোলিং করা। লেন্থ বজায় রেখে এবং গতির বৈচিত্র দিয়ে যদি বোলিং করতে পারি তাহলে ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে আমাদের জন্য। আমাদের বোলাররা সেই কাজটা করছে আজকে। ’

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago