শ্রমিক ছাঁটাই ও তুলে নেওয়ার অভিযোগ
এ বছরের শুরু থেকেই নতুন বেতন-ভাতাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন শুরু করেন বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। দাবি আদায়ের জন্যে রাস্তায়ও নেমে আসেন তারা। তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ঘোষিত বেতন কাঠামোয় আবারো পরিবর্তন আনা হয়। গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী আন্দোলনরত শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে, অসন্তোষ পুরোপুরি দূর হয়নি, সেই সংবাদও আসছে।
এর মধ্যে অভিযোগ আসছে অনেক কারখানা থেকে আন্দোলনে যোগ দেওয়া শ্রমিকদের ছাঁটাই চলছে। অভিযোগ আসছে গ্রেপ্তার ও তুলে নেওয়ার। বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের কথা হয় গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদারের সঙ্গে।
জলি তালুকদার বলেন, “আন্দোলন শুরু হওয়ার দুদিন পর থেকে আমাদের সংগঠনের লোকজন নিখোঁজ হওয়া শুরু করে। আজকে পর্যন্ত অন্তত ২৫জন নিখোঁজ হয়েছে। দুদিন আগে আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদীনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সাদা পোশাকে এসে আমাদের সংগঠনের লোকজনদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেতন কাঠামো নিয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠকে আমরা এ বিষয়টি জানিয়েছি। শ্রমিক ছাঁটাই ও ধরপাকড়-তুলে নেওয়া বন্ধ করার অনুরোধ করেছি।”
তিনি জানান, “দক্ষিণ খানের ক্যাসিওপিয়া গার্মেন্ট কারখানা থেকে তুলে নিয়েছে আমাদের সংগঠনের মাসুদ রানাকে। এছাড়াও, দক্ষিণ খানের নিপা ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড ইন্ড্রাস্ট্রিস লিমিটেড থেকে তুলে নিয়েছে সাজু ও মাসুদসহ সাতজনকে। জয়নাল আবেদীনকে নেওয়া হয়েছে তার বোনের বাসা থেকে। কোনাবাড়ীর রেজাউল অ্যাপরেলস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিনজনকে। অন্য একটি কারখানা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাতজনকে।”
“জয়নাল আবেদীন, সাজু, মাসুদ রানাসহ আমরা সন্ধান পেয়েছি পাঁচজনের। একজনকে পেয়েছি বিমানবন্দর থানায় এবং বাকি চারজনকে আদালতে পেয়েছি। তাও আবার নিখোঁজ হওয়ার তিন-চারদিন পর।”
“আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে সেই হিসাবে আন্দোলনের কারণে এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের কাছাকাছি শ্রমিককে বিভিন্ন কারখানা থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে,” যোগ করেন এই শ্রমিক নেতা।
Comments