বিপিএলে দেশীদের স্বার্থে ‘অস্বাভাবিক’ চাওয়া রোডসের
বিপিএল আয়োজনের মূল ভাবনার একটি ছিল দেশি খেলোয়াড়দের উন্নতি। কিন্তু জেতার তাড়না থাকায় দেশি ক্রিকেটারদের সবসময় প্রাধান্য দিতে পারছে না ফ্রেঞ্চাইজিগুলো। দেশি ক্রিকেটারদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া-না দেওয়ার এসব আলোচনার মধ্যে অভিনব এক প্রস্তাব রেখেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। ভাবনাটি নিজেই ‘অস্বাভাবিক’ বলে তা কার্যকরের আশাও রাখছেন তিনি।
এবারই বিপিএলে প্রথমবারের মতো একটা ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। খুলনা টাইটান্স ও চিটাগং ভাইকিংসের মধ্যকার সেই ম্যাচে সুপার ওভারে যুক্ত থাকা ছয় ব্যাটসম্যানের মাত্র একজন ছিলেন বাংলাদেশের। দুদলের দুই বোলারের দুজনই ছিলেন বিদেশি।
রোডস বদল দেখতে চান এই জায়গাতেই। গেল আসরে পাঁচজন বেশি খেলানোর নিয়ম বদল করে এবার আবার ফিরে আসা হয়েছে চার বিদেশিতে। রোডস চান চাপের মুহূর্তেও বিদেশিদের বদলে দায়িত্ব সামলানোর সুযোগও পাক দেশিরাই, ‘আমি জানি, বিদেশি ক্রিকেটারদের সংখ্যা এবার কমানো হয়েছে। আগামীতে আরেকটি দিকও তারা ভেবে দেখতে পারে। ভাবনাটি যদিও একটি অস্বাভাবিক, তবে কার্যকর হতে পারে। যদি কোন ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়, আমি সেখানে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সম্পৃক্ততা চাইব। এমনও হতে পারে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়তো আমাদের সুপার ওভার খেলতে হলো। তখন এইসব চাপের মুহূর্তের অভিজ্ঞতা কাজে দেবে।’
কোন দলের একাদশে কতজন দেশি, কতজন বিদেশী খেলবেন এটা নিয়ম করে দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু ম্যাচ পরিস্থিতিতে কোন দল কাকে দিয়ে বোলিং-ব্যাটিং করাবে সেটা বাইরে থেকে ঠিক করে দেওয়া যায় না। কিন্তু রোডস রেখেছেন তেমনই আবদার, ‘আমি চাই প্রতি দলেই সুপার ওভারে বোলিং করা বোলারকে দেশি হতেই হবে। তাসকিন হোক বা রনি কিংবা ফিজ, শেষ ওভার বোলিংয়ে যারা ভালো করবে, তাদেরই দলে নেওয়া হবে।’
‘একইভাবে, সুপার ওভারের দুই ওপেনারের একজনকে দেশের ব্যাটসম্যান হতেই হবে। তারা শিখবে এসব পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হয়। হয়তো অদ্ভুত শোনাচ্ছে আমার কথা। কিন্তু কারণটা বুঝতে হবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সব ধরনের পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমি প্রচণ্ড উদগ্রীব।’
Comments