স্যারকে বলেছিলাম আমার খুব ভয় লাগছে: তামিম
টানা দুই ম্যাচে শূন্য মারার পর বলেছিলেন , ‘আমার ভেতর একটা ইনিংস আছে যেটায় সব কিছু বদলে যাবে।’ কিন্তু সেই ইনিংস না এলে কি হবে সেই ভয়েও ভীষণ কাবু হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তাকে সাহস দিয়েছেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। নিজের শূন্য মারার গল্প শুনিয়ে সাহস দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদিও।
খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ৪২ বলে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সমস্ত অস্বস্তি, মনের ভয় ঝেড়ে ফেলার পর এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তামিম।
এতদিনের ক্যারিয়ারে কখনো টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হননি। নিজের সব পরিসংখ্যান মাথায় নিয়ে ঘোরেন। এবার বিপিএলে এমনটা হবার পর নিজেই জানিয়েছিলেন তা। খুলনা টাইটান্সের দেয়া ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নামার আগে সেই অস্বস্তির কাঁটা এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছিল, তামিম পার করছিলেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্নায়ুচাপের মুহূর্ত। যদি আরেকটি শূন্য হয়ে যায়!
দলকে জিতিয়ে, ম্যাচ সেরা হয়ে সেই ভয় জিতে আসার পর জানালেন ব্যাট করতে নামার আগে তার মনের খবর। ‘ আমার কাছে মনে হয় না গত সাত-আট বছরে আমি এত নার্ভাস ছিলাম কোন খেলার আগে। আমি স্যারকে (কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন) বলছিলাম যে ‘স্যার, আমার খুব ভয় লাগছে।’ স্যার স্যারের মতো যা আত্মবিশ্বাস দেওয়ার আমাকে দিয়েছে। ’
‘আফ্রিদি এসে তার গল্পগুলো বলছিল। কাজেই ওরাও বুঝেছিল আমার অবস্থা দেখে যে আমি একদমই স্বাভাবিক ছিলাম না। আমার মনে হয় না আন্তর্জাতিক ম্যাচেও লাস্ট এরকম পরিস্থিতি কখনো পড়ছি। সত্যি কথা বলতে আমি অনেক অনেক অনেক নার্ভাস ছিলাম আজ।’
জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৪১ বলে ৭০ রানের ইনিংসে ১৮১ রান করেছিল মাহমুদউল্লাহর খুলনা। সেই রান তাড়ায় এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ঝড় তুলেন তামিম। উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ১১৫ রান। এক ডজন বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৪২ বলে ৭৩ করে আউট হন তামিম। পরে শঙ্কা জাগিয়েও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জেতে ৩ উইকেটে।
Comments