যাওয়ার সময় তেতো কথাগুলোও বলে গেলেন ওয়ার্নার
সিলেট সিক্সার্সের হয়ে সাত ম্যাচ খেলার পর ডেভিড ওয়ার্নার চলে যাচ্ছেন। চোটে পড়া কনুইয়ের চিকিৎসা করাবেন নিজ দেশে গিয়ে। তবে যাওয়ার সময় তার দল সিলেট সিক্সার্স খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। মাত্র দুই ম্যাচ জিতে আছে টেবিলের তলানিতে। ওয়ার্নার নিজের পারফরম্যান্স অবশ্য উজ্জ্বল। যাওয়ার আগে সিক্সার্স অধিনায়ক দিয়েছেন কিছু পরামর্শ। তাতে আছে কিছু তেতো বাস্তবতা। তার দেখায় ম্যাচ চলাকালীন অধিনায়কের ইশারা বুঝতেন না সিক্সার্স খেলোয়াড়রা।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শেষ হয়েছে ওয়ার্নারের বিপিএল মিশন। এই ম্যাচে ১৯৪ রান করেও তার দল অবশ্য হেরেছে ৪ উইকেটে। তিন ফিফটিতে ২২৩ করে ওয়ার্নার আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকার তিনে। ৩৭.১৬ গড় ও ১৩১.১৭ স্ট্রাইক রেটে এই রান করেও দলের সাফল্য সেভাবে আসেনি।
বাংলাদেশ ছাড়ার আগে সিক্সার্সকে শুভকামনা জানিয়ে অল্পমধুর কথা বলেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান, ‘দারুণ ম্যাচ হয়েছে। তবে আমাদের দলের কথা চিন্তা করলে শেষ দিকটা হতাশার। সাব্বিরকে কৃতিত্ব দিতে চাই আমি। ও আজ দারুণ খেলেছে। পুরান শেষ করেছে দুর্দান্তভাবে। ১৯৪ রান ডিফেন্ট করার জন্য যথেষ্টর বেশি ছিল, আমাদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু একজনকে চারবার জীবন দিলে কঠিন সময় পেতেই হবে।’
ব্যাটসম্যানকে ফাঁদে ফেলে আউট করতে বারবার ফিল্ডিং বদলান ওয়ার্নার। মাঠে থাকেন সদা তৎপর। হাতের ইশারায় তাৎক্ষণিক বদল আনায় সতীর্থদের কাছ থেকে নাকি পাননি ঠিকঠাক সমর্থন, ‘আশা করি আমার দল জয়ের ধারায় ফিরবে। তবে কিছু দিকে নজর দিতে হবে আমাদের। একটি অবশ্যই শেষ দিকের বোলিং। আরেকটি ব্যাপার হলো, সাধারণ ম্যাচ সচেতনতা, দলের সবাই সবসময় অধিনায়কের দিকে মনোযোগ রাখে না। অবশ্য ছেলেরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করছে, এটা নিয়ে সংশয় নেই।’
তাসকিন আহমেদের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ নিয়েও উৎসব করেননি ওয়ার্নার। বোলারকে দিতে আসেননি উৎসাহ। ব্যাপারটা চোখে পড়ার মতো। কারণ তার আগের তিন বলেই ছক্কা-চারে ১১ রান দেন তাসকিন। ওয়ার্নারের ওভারের আগে তাকে দিয়েছিলেন পরামর্শ। কিন্তু সেই পরামর্শ অনুযায়ী, ফিল্ড পজিশন অনুযায়ী বল করতে পারেননি পেসার তাসকিন। উইকেট পেলেও রান বিলিয়েছেন দেদারসে।
তবে মাঠে এইসব বিষয় ছাড়া বিপিএল উপভোগ করেছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। বল টেম্পারিং ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ, খেলতে পারছেন না নিজ দেশের ঘরোয়া লিগও। এই সময়ে তাকে বিপিএল খেলার সুযোগ দেওয়ায় স্থানীয় আয়োজকদের ধন্যবাদ দিতে ভুলেননি ওয়ার্নার, ‘বাংলাদেশে আসা ও বিপিএলে খেলার সুযোগ দেওয়ায় বিসিবির প্রতি আমি দারুণ কৃতজ্ঞ। এখানকার দর্শক অসাধারণ, মাঠের আবহ দুর্দান্ত।’
Comments