‘সব দোষ’ মাহমুদউল্লাহর

১৮০ রানের উপরে করে দুটি ম্যাচ হারল খুলনা টাইটান্স। হেরেছে সুপার ওভারে গিয়েও। ব্যাটসম্যানরা রান পেলে বোলাররা বিবর্ণ। আবার বোলাররা ভালো করলে সেদিন রান পাননা ব্যাটসম্যানরা। চলতি বিপিএলে যেন বিভীষিকাময় কাটছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। আর এর কারণ খুঁজছেন সবাই। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য এতো খোঁজাখুঁজির মধ্যে না গিয়ে সরাসরি সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৮০ রানের উপরে করে দুটি ম্যাচ হারল খুলনা টাইটান্স। হেরেছে সুপার ওভারে গিয়েও। ব্যাটসম্যানরা রান পেলে বোলাররা বিবর্ণ। আবার বোলাররা ভালো করলে সেদিন রান পাননা ব্যাটসম্যানরা। চলতি বিপিএলে যেন বিভীষিকাময় কাটছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। আর এর কারণ খুঁজছেন সবাই। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য এতো খোঁজাখুঁজির মধ্যে না গিয়ে সরাসরি সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন।

চলতি আসরে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলেছে খুলনা। তাতে হার দেখেছে সাতটি। একটি জয় তারা পেয়েছিল রাজশাহীর বিপক্ষে। তাও মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে জিতেছিল ২৫ রানে। যাতে তাদের কৃতিত্বর চেয়ে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের দায়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। দলের এমন করুণ অবস্থা খুব কমই দেখেছেন মাহমুদউল্লাহ।

তাই দায় নিজের কাঁধে নিয়ে অধিনায়ক বললেন, ‘এরচেয়ে হয়তো খারাপ (কাগজে-কলমে) দল নিয়েও আমরা ভালো খেলেছি। কিন্তু এবার আগের চেয়ে ভালো দল নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা ফল পাইনি। আপনারা হয়তো কাগজে-কলমে খুলনাকে এগিয়ে না রাখলেও আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এই দলটির সেরা চারে খেলার সম্ভাবনা ছিল। আমি হয়তো ভালো নেতৃত্ব দিতে পারিনি, ফ্রেঞ্চাইজি যতখানি আশা করেছে আমার কাছ থেকে আমি দিতে পারিনি। দোষটা আসলে আমার।’

এমনকি নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় বলেও উল্লেখ করলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে এটাকে শিক্ষা বলে মনে করছেন তিনি, ‘আমার ক্যারিয়ারের যতগুলো ফ্রেঞ্চাইজি লিগ খেলেছি এখন পর্যন্ত এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাইনি। এখান থেকে হয়তো অনেক কিছু শিখতে পারবো। আশা করি পরবর্তী সময়ে এগুলো মাথায় রেখে আরও ভালো খেলতে পারি। আমার জন্য এবং দলের জন্য এটা কঠিন একটা সময়।’

হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন। তবে ব্যর্থতার কিছু কারণও খুঁজে পেয়েছেন তিনি, ‘আমি যত বছর বিপিএল খেলছি, এতো বড় তারকার দল নিয়ে খেলেনি। সব সময় মাঝারী দল নিয়ে খেলেনি। আমাদের দলে এবার বিদেশি, দেশি মিলিয়ে দারুণ কিছু খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোন বিভাগই একসঙ্গে জ্বলে ওঠেনি। ব্যাটিং ভালো হলে বোলিং ভালো হয়নি, বোলিং ভালো হলে ব্যাটিং ভালো হয়নি। এই কারণেই আমরা ফল পাইনি।’

Comments

The Daily Star  | English

Banks mostly gave loans to their owners rather than creditworthy borrowers

Bangladesh’s banking sector was not well-managed in recent years. Banks mostly gave loans to their owners, rather than to creditworthy entities. Consequently, several banks are now in difficulty.

11h ago