চট্টগ্রামেই ঝড় তুলবেন গেইল-ডি ভিলিয়ার্সরা!

গেইলের সঙ্গে রংপুরের ওপেনিংয়ে আর দেখা যাবে না হেলসকে ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিনবান্ধব। মারকুটে ব্যাটসম্যানদের জন্য একটু যেন কঠিনই হয়ে যায়। আর সেখানেই নিজের ছন্দ খোঁজার সংগ্রামে অনেকটা সফল ক্রিস গেইল। সফল অ্যালেক্স হেলসও। প্রত্যাশা পূরণ না করতে পারলেও খারাপ করেননি ডি-ভিলিয়ার্স। আর রাইলি রুশো তো দুর্দান্ত ছন্দে। সেই ব্যাটসম্যানরাই আগামীকাল নামছেন চট্টগ্রামের উইকেটে। যেটা অনেকটাই ব্যাটিং স্বর্গ হিসেবে পরিচিত। আর তাই এখানেই সতীর্থরা ঝড় তুলতে সক্ষম হবে বলেই মনে করেছেন ইংলিশ তারকা হেলস।

চট্টগ্রামে এসে বৃহস্পতিবার সকালে অনুশীলনে নামলেন রংপুর রাইডার্সের খেলোয়াড়রা। মাঝে উইকেটটাও একটু দেখে নিলেন। তা দেখেই যেন মুখের হাসিটা চওড়া হয়েছে হেলসের। মিরপুরের উইকেটে শুরুতে কি সংগ্রামটাই না করতে হয়েছে তাকে। প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতে তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শেষ দুই ম্যাচে খেলেছেন ভালোই। যদিও নিজের ক্ষুধাটা মেটাতে পারেননি। পারেননি গেইল, ডি ভিলিয়ার্সরাও।

এবার নিজেদের সেরাটা চট্টগ্রাম থেকেই দিতে চান হেলস। তার সঙ্গে তার সতীর্থরাও যে এখান উইকেটের সুবিধাটা নিতে মুখিয়ে আছেন তাও জানালেন এ ইংলিশ, ‘‘আমার মনে হয় এটা এমন  একটা মাঠ যেটা আমাদের খেলার ধরণকে সমর্থন করে। আমাদের খুব ভালো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ আছে। ক্রিস (গেইল), এবি (ডি ভিলিয়ার্স) এবং রাইলি (রুশো) দুর্দান্ত ছন্দে আছে। আমার মনে এই উইকেটে আমরা আশা করি আরও ভালো খেলতে পারব।’

মূলত নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই এমনটা বলেছেন হেলস। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পাওয়া একমাত্র সেঞ্চুরিটা যে এসেছে এ মাঠেই। তাই আবারও এমন কিছু করার প্রত্যয় ঝরে তার কণ্ঠে, ‘শেষ কয়েক ম্যাচে আমি কিছুটা ভালো খেলতে পেরেছি। আমি এখানে আগেও খেলেছি। আমি ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। আমার খুবই ভালো স্মৃতি রয়েছে এ মাঠে। এটা আসলে ব্যাটিং উইকেট। তাই আমার লক্ষ্য থাকবে এখানে ভালো স্কোর করা। শেষ ম্যাচে ফিফটি পেয়েছি। আশা করি সামনে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারব।’

চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিকদের মোকাবেলা করবে রংপুর। কাজটা তাই একটু কঠিনই হয়ে যাবে তাদের জন্য। তার উপর প্রতিপক্ষ বেশ ছন্দেও আছে। হেলসের ভাষায়, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ম্যাচ। আশা কই এখানে আমরা ছন্দ খুঁজে পাব। শুরু থেকেই চিটাগং দল খুব ভালো খেলছে। টেবিলের প্রায় সব দলের বিপক্ষে এখানে খেলতে হবে। টিকে থাকতে হলে জয় পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সপ্তাহ।’

Comments

The Daily Star  | English

Mob violence now alarmingly routine

Rights groups say the state's failure to act swiftly and decisively has to some extent emboldened mobs and contributed to a climate where vigilante justice is becoming commonplace.

10h ago