ইমরুলের বুকে রক্তক্ষরণ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩৪৯ রান। তার চেয়ে বেশি রান বাংলাদেশে তো দূরের কথা ক্রিকেট ইতিহাসেই আছে একটি। এমন বিরল রেকর্ড গড়ার এক সিরিজ পরই বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ  ইমরুল কায়েস। মেনে নিলেও তা মনে নিতে পারেননি ইমরুল। আছে কষ্ট। কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের দুর্দান্ত এক জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অধিনায়ক ইমরুলের কণ্ঠে ভাসে সে কষ্টের প্রতিধ্বনি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকেই আসা যাওয়ার মধ্যেই আছেন ইমরুল। তবে শুরুতে অধিকাংশ সময়ে বাদ পড়তেন ইনজুরির কারণে। আর বর্তমানে বাদ পড়ছেন কম্বিনেশনের কারণে কিংবা তার চেয়েও ভালো খেলে জায়গা দখল করছেন অন্য কেউ। তবে কখনো কখনো যে নির্বাচকদের অবহেলার শিকারও হচ্ছেন না তাও নয়। যেমনটা ঘটেছে এবারই।

আর সবই নীরবে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ইমরুল, ‘গত দশ বছর ধরে তো এভাবেই খেলে আসছি। খেলতে হচ্ছে। আমি নিজেও জানি না যে, আমি ভালো খেলার পর পরের সিরিজে খেলতে পারব কি পারব না, আমি নিজেও আশা করি  না। আমি ওভাবেই মানসিকভাবে তৈরি থাকি। যখনই সুযোগ পাই জাতীয় দলের জন্য একটা সুযোগ… ওভাবেই খেলার চেষ্টা করি।’

তবে জাতীয় দলে কেন থাকছেন না তার একটা ব্যাখ্যা চান ইমরুল। তার দুর্বলতা জানতে পারলে তা নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় প্রকাশ করেন তিনি, ‘জিনিসটা যদি পরিষ্কার করে দেয় তাহলে আমি ওই জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে পারি। আরও ভালো কাজ করতে পারি। আমার কাছে মনে হয় এই জিনিসটা পরিষ্কার হওয়া আমার জন্য ভালো। কারণ আমি কেন থাকতেছি না, বা কেন নাই। আমি নিজেও জানি না, হয়ত টিম কম্বিনেশনের কারণে হয়ত চিন্তা করেছে একই পজিশনে হয়তো (অনেক ব্যাটসম্যান) আমাকে দরকার নাই। তার জন্য হয়তো আমি তাদের মাথায় নাই।’

নিউজিল্যান্ড সিরিজের ঘোষিত দলে বেশ কিছু বিস্ময়ই উপহার দিয়েছে নির্বাচকরা। পারফর্ম করে কেউ জায়গা পাননি, আবার কেউ পারফর্ম না করেই ফিরেছেন জাতীয় দলে। কেউবা আবার নিষিদ্ধও ছিলেন। তবে এসব কোন কিছুই নিয়ে ভাবছেন না ইমরুল। নজর দিচ্ছেন নিজের কাজে। যখনই সুযোগ মিলে তখনই পারফর্ম করতে চান তিনি। তবে তার আগে নির্বাচকদের কাছ থেকে একটা ব্যাখ্যা পেলে খুশী হতেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

First day of tariff talks ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

2h ago