বিপিএলের এ সেঞ্চুরির কোন মূল্য নেই ভিলিয়ার্সের কাছে

লক্ষ্যটা ছিল ১৮৭ রানের। চট্টগ্রামের উইকেটে এ রান হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু শুরুতে উইকেট পেলেও এ রানেও প্রতিপক্ষকে আটকানো সম্ভব। আর পেলও সাবিকের দল। গেইলকে তো পেলেনই, পেলেন দারুণ ছন্দে থাকা রাইলি রুশোকে। ৫ রানে দুই উইকেট তুলে তখন উড়ছিল ঢাকা। কিন্তু হেলসকে নিয়ে তাদের মাটিতে নামিয়ে আনেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। রেকর্ড জুটিতে সেঞ্চুরি তো করেছেনই, দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে। কিন্তু তারপরও এ সেঞ্চুরির কোন মূল্য নেই ভিলিয়ার্সের কাছে।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

লক্ষ্যটা ছিল ১৮৭ রানের। চট্টগ্রামের উইকেটে এ রান হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু শুরুতে উইকেট পেলেও এ রানেও প্রতিপক্ষকে আটকানো সম্ভব। আর পেলও সাবিকের দল। গেইলকে তো পেলেনই, পেলেন দারুণ ছন্দে থাকা রাইলি রুশোকে। ৫ রানে দুই উইকেট তুলে তখন উড়ছিল ঢাকা। কিন্তু হেলসকে নিয়ে তাদের মাটিতে নামিয়ে আনেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। রেকর্ড জুটিতে সেঞ্চুরি তো করেছেনই, দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে। কিন্তু তারপরও এ সেঞ্চুরির কোন মূল্য নেই ভিলিয়ার্সের কাছে।

এ নিয়ে ২৬৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ভিলিয়ার্স। তাতে এই চতুর্থ বারের মতো পৌঁছালেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। কিন্তু সেঞ্চুরির চেয়ে দলের জন্য ব্যাটিং করে প্রয়োজনীয় রান তোলাকেই গুরুত্ব দেন তিনি। তা হোক না সে যে কোন স্কোর। আগের দিন ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে পেরেছেন এ প্রোটিয়া। এটাই তাকে তৃপ্তি দিয়েছে। মূলত ম্যাচ ফিনিশ করার আনন্দে ভেসেছেন, সেঞ্চুরিতে নয়।

সংবাদ সম্মেলনে তাই প্রশ্ন উঠে এলো এ সেঞ্চুরি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে। আর এমন প্রশ্নে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দেন ভিলিয়ার্স, ‘আপনি কি সত্যি উত্তর চান নাকি মিথ্যে?’

আর স্বাভাবিকভাবেই সত্যি উত্তরটাই চেয়েছেন সাংবাদিকরা। ভিলিয়ার্স বললেন, ‘আমি এ সেঞ্চুরিকে এক শতাংশ মূল্যও দেই না। এটা আমার জন্য কিছুই নয়। আমি ম্যাচটা শেষ করে আসতে পেরেছি এটা আমার জন্য অনেক কিছু। আমি এখানে দলের জন্য এসেছি এবং আমি এ জন্যই খেলি। সত্যিই আপনি হয়তো অবাক হবেন কিন্তু  আমি এর (সেঞ্চুরি) পরোয়া করি না। আমি দুঃখিত আপনাকে হতাশ করায়। আমি কখনোই এর (সেঞ্চুরি) পরোয়া করিনি।’

কিন্তু তারপরেও কি তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার কিছুটা তৃপ্তি দেয় না ভিলিয়ার্সকে। ফের প্রশ্ন। উত্তর ঘুরে ফিরে ওই একই, ‘আমি ম্যাচটা শেষ করতে পেরেছি এটাই আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমি ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময়ে মিডল অর্ডারে ব্যাট করেছি। আপনি যদি পরিসংখ্যান দেখেন মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি সেঞ্চুরি করে না। তারা ম্যাচ শেষ করে এবং এ জন্যই আমি নিজেকে ম্যাচ শেষ করা পর্যন্ত রেখেছি। নটআউট থেকেছি।’

যথার্থই বলেছেন ভিলিয়ার্স। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মূল দায়িত্ব থেকে ম্যাচ ফিনিশ করে আসা। আর সে কাজটা বেশ দারুণভাবেই করেছেন ভিলিয়ার্স। তাও ম্যাচের প্রচণ্ড চাপ সামলে। ৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ম্যাচজয়ী ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৫০ বলে করেছেন ১০০ রান। তাতেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Government logo

Govt cancels 8 national days including historic 7th March

The interim government has announced the cancellation of eight significant national days, including the one commemorating the historic March 7 speech of Bangabandhu

1h ago