এবার রুশো-ভিলিয়ার্সের ব্যাটে দুর্বার রংপুর

রংপুর রাইডার্সকে ঠেকাবে কারা? বিপিএলে বোধহয় এই প্রশ্নটাই বড় হতে চলেছে। প্রথম কয়েক ম্যাচ হার-জিতের উঠানামা ছিল। কিন্তু এবিডি ভিলিয়ার্স নামার দিন থেকেই যেন দুর্বার মাশরাফি মর্তুজার দল। সেদিন থেকে টানা জিতেই চলেছে তারা। এবার রাজশাহী কিংসকে গুঁড়িয়ে পেল টানা পঞ্চম জয়। সব মিলিয়ে সপ্তম। উঠে গেল টেবিলের শীর্ষেও।
Rilee Rossouw-AB de Villiers
রংপুরকে জেতালেন রুশো-ভিলিয়ার্স। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

রংপুর রাইডার্সকে ঠেকাবে কারা? বিপিএলে বোধহয় এই প্রশ্নটাই বড় হতে চলেছে। প্রথম কয়েক ম্যাচ হার-জিতের উঠানামা ছিল। কিন্তু এবিডি ভিলিয়ার্স নামার দিন থেকেই যেন দুর্বার মাশরাফি মর্তুজার দল। সেদিন থেকে টানা জিতেই চলেছে তারা। এবার রাজশাহী কিংসকে গুঁড়িয়ে পেল টানা পঞ্চম জয়। সব মিলিয়ে সপ্তম। উঠে গেল টেবিলের শীর্ষেও।

মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে আগে ব্যাট করে রান পেতে মাথা খুটে মরেছে রাজশাহী। সেখানে রান তাড়ায় গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজদের বোলিং সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি রংপুরের।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজশাহীর দেওয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে যায় রংপুর। ৮ বল হাতে রেখে জিতেছে ৬ উইকেটে।

রংপুরকে জেতাতে আগের ম্যাচে দুর্দান্ত জুটি গড়েছিলেন ভিলিয়ার্স আর আলেক্স হেলস। এবার ভিলিয়ার্স রুশোর সঙ্গে মিলে গড়েছেন চোখ ধাঁধানো আরেক জুটি।

রংপুরের চার ‘আতঙ্কের’ অন্যতম ক্রিস গেইল অবশ্য এদিনও ছিলেন মলিন। ১৪ বল খেয়ে কোনরকমে ১০ রান করে মিরাজের কাছে হয়েছেন কুপোকাত। হেলসও টেকেননি বেশিক্ষণ।

তবে ওতে আর চিন্তার কিছু হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। টুর্নামেন্টে সেরা ফর্মে থাকা রুশোর সঙ্গে মিলে ঝড় তুলেন স্বদেশী ভিলিয়ার্স। ৪৩ বলে ৭১ রানের জুটির পর ফিফটি (৫৫) করা রুশোর বিদায়ে ভাঙে জুটি। তখন জিততে বড় কোন সংশয় ছিল না রংপুর। রুশোর পথ ধরে ২৭ বলে ৩৭ রান করে ভিলিয়ার্সও আউট হয়ে যান। তবে তখন জিততে দরকার মাত্র ১৫। সেই রান অনায়াসে তুলেছেন মোহাম্মদ মিঠুন আর নাহিদুল ইসলাম।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের আভাস দিয়েই ফেরেন জনসন চার্লস। মুমিনুল হক এসেই ফেরত যান। সৌম্য সরকার ছিলেন খোলসবন্দি। দলের উপরও বাড়ছিল চাপ। খোলস ছেড়ে বেরুতে গিয়েই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনিও। কেবল ছন্দে ছিলেন লরি ইভান্স। তার ব্যাটেই জুতসই সংগ্রহের আশা দেখছিল রাজশাহী।

শহীদুলের বলে চিতার ক্ষিপ্রতায় তার ক্যাচ জমান নাহিদুল। ধুঁকতে থাকা রাজশাহীর তখন যায় যায় দশা। ফজলে মাহমুদ আর কাইস আহমেদ মিলে সেখান থেকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন কিন্তু তাতেও দেড়শো ছুঁতে পারেনি কিংস। ওই রান যে রংপুরের বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইনআপের জন্য কিছুই নয় তা টের পাওয়া গেছে খানিক পর।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজশাহী কিংস :  ২০ ওভারে ১৪১/৮  (চার্লস ১২, সৌম্য ১৪, মুমিনুল ৪, ইভান্স ৩৫ , মিরাজ ৬, ইয়ঙ্কার ১৬, ফজলে মাহমুদ ১৮, কাইস ২২ , সানি ১* , মোস্তাফিজ ৪*; নাজমুল ২/৩৯, মাশরাফি ০/২৫, ফরহাদ ১/৩০, নাহিদুল ১/১৪,  শফিউল ০/৩, শহিদুল ২/২৮)

রংপুর রাইডার্স: ১৮.৪  ওভারে ১৪৫/৪   (গেইল ১০, হেলস ১৬, রুশো ৫৫ , ভিলিয়ার্স  ৩৭, মিঠুন ৪*, নাহিদুল ১১* ; মিরাজ ১/২৪, সানি ১/২৯ , মোস্তাফিজ, কাইস ১/২৯, কামরুল ১/২৯)

ফল:  রংপুর রাইডার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago