বিশ্বভারতীকে ১০ কোটি রুপির অনুদান বাংলাদেশের

শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুত ১০ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Visva Bharati
ভারতের শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুত ১০ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। ছবি: স্টার

শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুত ১০ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। বিশ্বভারতীর ভিসি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী চেক গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

এই চেক প্রদান অনুষ্ঠানে উপদূতাবাসের তিন কর্মকর্তা বিএম জামাল হোসেন, মনসুর আহমদ বিপ্লব, মোফাকখারুল ইকবালও উপস্থিত ছিলেন।

ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ কোটি রুপি দিয়ে এর আগে শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন নামের একটি ভবন নির্মাণ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। গত বছর ২৫ মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ওই ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন।

ভবনের আর্থিক ব্যয় বাংলাদেশ বহন করলেও ভবনের জন্য ভারত সরকার জমি বরাদ্দ দেয়। তবে ৪ হাজার ১শ বর্গ মিটারের জায়গায় নির্মিত এতো বড় ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কোথা থেকে আসবে সেই প্রশ্ন উঠে।

বিষয়টি জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি এই সমস্যার সমাধান করে দেন।

এদিন অনুদানের টাকা গ্রহণ করার পর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, “এই টাকা আমরা এককালীন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রহণ করছি। এই টাকা থেকে যে সুদ পাওয়া যাবে তা দিয়ে বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।”

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, ভারত সরকারের কাছেও ১০ কোটি রুপি চাওয়া হয়েছে। তবে সেটি এখনো পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ভবনে রয়েছে দুটি সেমিনার হল। রয়েছে একটি গ্রন্থাগার, একটি জাদুঘর, একটি শিক্ষা কেন্দ্র, একটি ক্যাফেটেরিয়া এবং অত্যাধুনিক মিলনায়তনও।

সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসের সাক্ষী থাকা গ্রন্থের জন্য সেখানে রয়েছে একটি লাইব্রেরিও। আছে জাদুঘর। জাদুঘরে স্থান পেয়ে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও। এছাড়াও রয়েছে অতি দুর্লভ কিছু ছবি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত নানা প্রত্ন নিদর্শনের অনুকৃতি। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির মধ্যে উয়ারী বটেশ্বরে প্রাপ্ত প্রত্ন নিদর্শন যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ৬ষ্ঠ-৭ম শতকের পোড়ামাটির কাজ, ১৬শ শতকের নকশা-খচিত ইট প্রভৃতি। স্থান পেয়েছে পাহাড়পুর, মহাস্থানগড়ের নানা নিদর্শন, দেবদেবীদের মূর্তিও।

Comments