তরুণদের বিশ্বমানের করতে পরিচর্যা চান মাশরাফি

মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে এক ম্যাচ দুই ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়ের সংখ্যা অনেক। অপার সম্ভাবনা নিয়ে এসেও হারিয়ে যান স্বল্প সময়েই। চলতি বিপিএলেও বেশ কিছু তরুণ নজর কেড়েছেন। যাদের অনেকের সামর্থ্য রয়েছে জাতীয় দলে খেলার। কিন্তু এখনই তাদের নিয়ে না ভেবে পরিচর্যা করে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করার কথা বললেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অন্তত তারা যেন হারিয়ে না যান সে দিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেছেন অধিনায়ক।

নিজের দলেই খেলছেন দুই তরুণ। নিজের চতুর্থ ম্যাচ খেললেন শহিদুল ইসলাম। আর প্রথম ম্যাচ মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদির। দারুণ কিছু না করলেও কেউই হতাশ করেননি মাশরাফিকে। আর অন্যান্য দলেও দেখেছেন বেশ কিছু তরুণকে। বিশেষকরে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে দারুণ খেলেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তাদের দেখে অধিনায়কের উপলব্ধি, ঠিকমতো ঘষামাজা করলে এক সময়ে জাতীয় দলের তারকা হওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন এ তরুণরা।

‘এমন কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের একটু ঘষামাজা করা যায়, একটু নির্দেশনা দেওয়া যায়, তাহলে এরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালো জায়গা নিয়ে যেতে পারবে। এদের বয়স তো একেবারেই কম। এদের ঢাকা লীগ, ফোর ডে ম্যাচে বা অন্যান্য জায়গায় যদি ব্যাক আপ করা যায়, সামনে আনা যায়, তাহলে এরা কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক অবদান রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।’- তরুণ ক্রিকেটার দিয়ে এমনটাই বলেন মাশরাফি।

‘অন্যান্য দেশে তাকান, এরাই কিন্তু বিশ্বমানের খেলোয়াড় হয়ে যায়। আমাদের দেশে এরা একটা পর্যায়ে যেতে হারিয়ে যায়। আমাদের উচিত এখন থেকে একটা জায়গা আনা ও সেট করা। আমরা খুব তাড়াতাড়ি করি যাকে করি, সেটা না করে পাঁচ বছর পর, ভালো অবস্থানে আসার পর সুযোগ দেয়া, যেন ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।’- যোগ করে আরও বলেন অধিনায়ক।

আর তরুণদের সুযোগ দেওয়ার কাজটাও করেছেন মাশরাফি। অধিনায়কের ভাষায়, ‘চেষ্টা করেছি আমরা যত তরুণ খেলোয়াড় ছিল তাদের সামনে আনার। শহিদুলকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থেকে আমরা খেলিয়েছি। তাকে আমরা কঠিন, সহজ পরিস্থিতি বলেন, সবখানে খেলিয়েছি। সে খুব ভালোও করেছে। সব থেকে ভালো লেগেছে আমার, সে কিছুতেই ভয় পায় না। আপন মনে বল করে। একটা খেলোয়াড়ের সবথেকে বড় শক্তি হচ্ছে সামনে কি হচ্ছে না ভেবে আমি কি করব সেটা ভাবা। সে খুবই আত্মবিশ্বাসী, এটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।’

এছাড়াও নিজের দলের আরেক তরুণ আফ্রিদিরও প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক, ‘যেভাবে ও (আফ্রিদি) বোলিং করেছে, বিশেষ করে সেকেন্ড স্পেলে এসে দুইটা বল করেছে সে, দেখে মনে হয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। প্রথম দিকে কিছু হাফ ভলি, ফুল টস দিয়েছে। পরে যেই দুইটা বল করে সেটা জায়গা মত ছিল। এদেরকে আসলে একটু সাহস বা নির্দেশনা দিলে, আমাদের যেই দুর্বল জায়গাটা আছে, বিশেষকরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে, লেগ স্পিনারের ক্ষেত্রে, এমন কিছু পেলে যদি ব্যাক আপ করা যায়, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য ভালো হবে। আমার কাছে সত্যিই মনে হয়ে অনেকের মধ্যে সে ব্যতিক্রম।’

Comments

The Daily Star  | English

Baitul Mukarram to host five Eid jamaats

Prayer times: 7am, 8am, 9am, 10am, 10:45am

20m ago