খুলনাকে গুঁড়িয়ে শেষ চারে ঢাকা

ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে দুর্বল হরিণের যেমন দশা হওয়ার কথা, ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে খুলনা টাইটান্সের হলো যেন তেমনই। আগের দিন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে শ্বাসরুদ্ধকর হারে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ঢাকা। তলানি থেকে আগেই বাদ পড়া খুলনার ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তবে তারা জিতলে হাসি ফুটত রাজশাহী কিংসের। সাকিব আল হাসানরা আর অমন সমীকরণ মিলতে দেয়নি। মাহমুদউল্লাহদের উড়িয়েই প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
Dhaka Dynamites
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে দুর্বল হরিণের যেমন দশা হওয়ার কথা, ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে খুলনা টাইটান্সের হলো যেন তেমনই। আগের দিন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে শ্বাসরুদ্ধকর হারে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ঢাকা। তলানি থেকে আগেই বাদ পড়া খুলনার ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তবে তারা জিতলে হাসি ফুটত রাজশাহী কিংসের। সাকিব আল হাসানরা আর অমন সমীকরণ মিলতে দেয়নি। মাহমুদউল্লাহদের উড়িয়েই প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে তারা।

শনিবার রাতে বিপিএলে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ হয়েছে একতরফা। নিয়মরক্ষার ম্যাচে নেমা খুলনা আগে ব্যাট করে ঢাকাকে দিয়েছিল মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্য। ওই রান তাড়ায় ৩১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতেছে ঢাকা । এতে ১২ ম্যাচের ছয়টি জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর হয়ে সেরা চারে উঠেছে সাকিবের দল। সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকার প্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিংস।

১২৪ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ঝড় তুলেন সুনীল নারাইন। ছক্কা-চারে মাত করে লক্ষ্যটাকে বানিয়ে দেন আরও ছোট। চার ছক্কা আর দুই চারে ১৩ বলেই ৩৫ করে ফেরেন তিনি। আরেক ওপেনার উপুল থারাঙ্গাও ছিলেন তেতে। 

ওয়ানডাউনে নেমে অধিনায়ক সাকিব আর চারে নেমে মিজানুর ফিরলেও তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি দলে। ৩০ বলে ৪২ করে আউট হন লঙ্কান বাঁহাতি। পরে নুরুল হাসান আর কাইরন পোলার্ড মিলে অনায়াসে ম্যাচ শেষ করে দিয়ে আসেন।

নিয়মরক্ষার ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুতে ঝাঁজ দেখিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন টেইলর। তবে তা ফুরোতেও দেরি হয়নি। ছোটখাটো ঝড় তুলে শুরুতে ফেরা জুনায়েদ সিদ্দিকির পথ ধরেন তিনি। এরপরেই দেখা মিলেছে মিরপুরের চিরচেনা উইকেটের। পুরো ইনিংস জুড়ে খুলনার হয়ে পরে জুতসই রান পেয়েছেন আর কেবল দুজন। মিডল অর্ডারে ২০ বলে ২৪ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষ দিকে ডেভিড ভিসে খেলেন ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস। টুর্নামেন্ট থেকে অনেক আগেই বাদ পড়া মাহমুদউল্লাহর দলের শরীরী ভাষাও এদিন ছিল গা ছাড়া। এখান থেকে আর কোন কিছু পাওয়ার ছিল না তাদের। তাই যেন কেবল খেলার জন্যই খেললেন তারা।

সামনে কোন লক্ষ্য নেই, জেতার তীব্র তাড়না নেই। তবু হতাশার টুর্নামেন্টে শেষটায় সান্ত্বনা পাওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারতেন। কিন্তু খুলনার মধ্যে সেটা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে জেতার জন্য মরিয়া ঢাকা ছিল আগ্রাসী। অমন দলের সামনে তাই আর থই পায়নি খুলনা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

খুলনা টাইটান্স: ২০ ওভারে ১২৩/৯(টেইলর ১৮, জুনায়েদ ২, মালান ৭, মাহমুদউল্লাহ ১৪, শান্ত ২৪, আল-আমিন ১২, ভিসে ৩০, তাইজুল ১২, সাদ্দাম ১, জুনায়েদ ০ ; রাসেল ০/১৪ , রুবেল ২/২৭, সাকিব ২/৩২, নারাইন ১/২০, অনিক ১/২০, মাহমুদুল ০/১০)

ঢাকা ডায়নামাইটস:  ১৪.৫ ওভারে ১২৪/৪ (  থারাঙ্গা ৪২, নারাইন ৩৫, সাকিব  ১, মিজানুর ০,  নুরুল ২৭* , পোলার্ড ৯*; শুভাশিস ০/১৫  , জুনায়েদ ১/২৩ , সাদ্দাম ১/২৬ , ভিসে ০/১৭ , মাহমুদউল্লাহ ২/১৪ , তাইজুল ১/২৩, ০/৩)

ফল: ঢাকা ডায়নামাইটস ৬  উইকেটে জয়ী।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago