মুক্তিযুদ্ধ বেচে না খেয়ে সেটাকে আরও সমৃদ্ধ করি: সুলতানা কামাল
মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন,এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা সেইসব মানুষের সু উত্তরাধিকারী। সু উত্তরাধিকারীর কর্তব্য হচ্ছে তার উত্তরাধিকারকে সমৃদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তাকে বেচে খাওয়া না। আমরা যেন মুক্তিযুদ্ধকে বেচে না খেয়ে সেটাকে আরও সমৃদ্ধ করি এবং নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের সু উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি।
আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে বেসরকারি রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও মানবাধিকার বিভাগের উদ্যোগে ‘মানবাধিকার সংবিধান এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের প্রকট অভাব রয়েছে। যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই নারীর প্রতি আইনগত বৈষম্য রয়ে গেছে। এই আধুনিকতার যুগে এসেও দুই তৃতীয়াংশ মানুষ বিনা বিচারে আটক থাকে। এর মধ্যে বড় একটা অংশ কোন অপরাধ না করেই আটক রয়েছে। আমরা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখছি। এমনও অনেক হত্যাকাণ্ড রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বিচার হয় না।
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একেবারে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দেয়াটা সমর্থন করা যায় না। রাষ্ট্র কখনো আইন ভঙ্গ করতে পারে না। সেই হিসেবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংবিধান পরিপন্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (আরপিএসইউটি) চেয়ারম্যান রাজীব প্রসাদ সাহা, অন্যতম সদস্য মতি সাহা, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অন্যতম পরিচালক সম্পা সাহা প্রমুখ।
Comments