রুবেলের তোপে সহজ লক্ষ্য পেল ঢাকা
ক্রিস গেইল, নাদিফ চৌধুরীদের জারিজুরি থামিয়ে রুবেল হোসেনের তোপে খেলার লাগাম নিয়েছিল ঢাকা ডায়মাইটস। মোহাম্মদ মিঠুন আর রবি বোপারা সেই তোপ সামলে রংপুর রাইডার্সকে দেখাচ্ছিলেন আশা। শেষ দিকে এসেও নিজের ঝাঁজ দেখিয়েছেন রুবেল। ফলে ফাইনালে উঠতে লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই পেয়েছে ঢাকা।
বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৪২ রানে অলআউট হয়েছে রংপুর। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪৯ রানে আউট হন বোপারা। মাত্র ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ঢাকার নায়ক পেসার রুবেল। ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রতিপক্ষ হতে তাই ঢাকার চাই ১৪৩ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে জড়তা কাটাতে পারেননি ক্রিস গেইল। তৃতীয় ওভার থেকেই শুরু করেছিলেন পিটুনি। আরেক পাশে এবারের আসরে প্রথমবার নামা নাদিফ চৌধুরীর ব্যাটও হয়ে উঠেছিল উত্তাল।
প্রথম দুই ওভার থেকে মাত্র ৫ রান এলেও পরের দুই ওভারে থেকে ৩৭ রান নিয়ে নেন দুজন। তারমধ্যে শুভাগত হোমের টানা তিন বলে তিন ছক্কা মেরে বড় অবদান নাদিফেরই। ওই ছক্কা উৎসবের পরই অবশ্য অক্কা পান তিনি।
শুভাগতকে আরেকটি মারতে গিয়ে পোলার্ডের হাতে জমা পড়ে শেষ হয় তার ১২ বলে ২৭ রানের ঝড়। রংপুরকে স্তব্ধ করে দিয়ে তার পরের ওভারেই বিদায় গেইলের। রুবল হোসেনের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
দারুণ ফর্মে থাকা রাইলি রুশো এসেই রুবেলকে উড়াতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফেরেন। উড়ন্ত অবস্থা থেকে তখন হুট করেই চরম সংকটে রংপুরের ইনিংস।
সেই অবস্থা থেকে দারুণ জুটিতে দলকে টেনে তুলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও রবি বোপারা। দুজনে মিলে পালটা আক্রমণ চালিয়ে এগিয়ে নেন দলকে। বেশি আগ্রাসী থাকা মিঠুন আউট হলে ভাঙ্গে ৬৪ রানের জুটি।
২৭ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৮ রান করে কাজি অনিকের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিঠুন। এরপর আবারও দ্রুত দুই উইকেট খোয়ায় রংপুর। সাকিব তুলে নেন বেনি হাওয়েলকে। মাশরাফি কাটা পড়েন কাজি অনেকের বলে মারতে গিয়ে। শেষ দিকে রংপুরকে লড়ার মতো পূঁজি এনে দেন বোপারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স: ১৯.৩ ওভারে ১৪২ (গেইল ১৫ , নাদীফ ২৭, মিঠুন ৩৮, রুশো ০, বোপারা ৪৯ , হাওয়েল ৩, মাশরাফি ০, নাহিদুল ৪, রেজা ২, শফিউল ০, নাজমুল ; রাসেল ০/, রুবেল ৪/২৩, শুভাগত ১/১৮ , সাকিব ১/২৯, নারাইন ০/১৮, অনিক ২/২১)
Comments