বিআরটিসি বাস: মরার আগেই মেরে ফেলা
সরকারি সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি’র সম্প্রতি কেনা নতুন ৬০০ বাসে চড়ার সুখ যাত্রীরা বেশি দিন নাও পেতে পারেন। কেননা, বাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেগুলোকে নষ্ট করে ফেলার দৃষ্টান্ত রয়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ২৫৫টি দাইয়ু বাস কেনা হয়েছিলো। এছাড়াও, কেনা হয়েছিলো গাড়ির যন্ত্রাংশ। এতে খরচ হয়েছিলো প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। ২০১২ এবং ২০১৩ সালে বাসগুলো হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু, সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে রাস্তায় চলে মাত্র ১৩৮টি বাস।
সংস্থাটির মুখপাত্র আলমাস আলী বলেন, বিআরটিসি’র অধীনে রয়েছে ১ হাজার ৪৪৫টি বাস। সেগুলোর মধ্যে সচল রয়েছে ৯২১টি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিআরটিসি’র কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, দক্ষ মেকানিক, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ, অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ, যথাযথ সিদ্ধান্তের অভাব, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি ইত্যাদি কারণে বাসগুলোকে ‘মরার আগেই মেরে ফেলা হচ্ছে’।
এদিকে, বেসরকারি বাস সার্ভিসের কয়েকজন পরিচালক জানান, যথাযথ পরিচর্যা করলে একেকটি বাস ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত সচল রাখা যায়। যদিও এটি বাসের মডেল ও ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে।
বিআরটিসি’র কর্মকর্তারা বলেন, ভারত সরকারের ঋণ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশটি থেকে ৬০০ বাস এবং ৫০০ ট্রাক কিনেছে। গাড়িগুলোর কয়েকটি এসেছে বাকিগুলো আগামী এপ্রিলের মধ্যে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাসগুলো এমন এক সময়ে আনা হচ্ছে যখন রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থাটি গত আড়াই বছর থেকে লোকসান গুনছে। এখন ৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান রয়েছে বিআরটিসি’র।
সংস্থাটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, গত ছয় বছরে বিআরটিসি’র বহরে নতুন কোনো বাস যোগ না হওয়ায় এবং সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই লোকসান হচ্ছে। এছাড়াও, গত কয়েক বছর থেকে বাস ভাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে।
কিন্তু, নিরাপদ সড়ক নিয়ে যারা কাজ করেন এবং এমনকি, সংস্থাটিতে কর্মরত কয়েকজনের মন্তব্য- অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির কারণেই এই লোকসান হচ্ছে।
(সংক্ষেপিত, পুরো রিপোর্ট পড়তে নিচের ইংরেজি লিংকে ক্লিক করুন)
Comments