তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার বিশাল সংগ্রহ

এর আগে কখনো বিপিএলের ফাইনালে খেলতে না পারার আক্ষেপ ছিল তামিম ইকবালের। বড় মঞ্চে নিজেকে অনেকবার প্রমাণ করা এই ব্যাটসম্যান প্রথমবার কোন বিপিএলের ফাইনালে নেমেই তুললেন ঝড়, তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
Tamim Iqbal
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এর আগে কখনো বিপিএলের ফাইনালে খেলতে না পারার আক্ষেপ ছিল তামিম ইকবালের। বড় মঞ্চে নিজেকে অনেকবার প্রমাণ করা এই ব্যাটসম্যান প্রথমবার কোন বিপিএলের ফাইনালে নেমেই তুললেন ঝড়, তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

শুক্রবার ফাইনালের মঞ্চের প্রথম অর্ধ পুরোটাই রাঙিয়েছেন তামিম। তার তাণ্ডবে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে  ১৯৯ রান করেছে কুমিল্লা। ঢাকাকে দিয়েছে ২০০ রান তাড়া করে জেতার চ্যালেঞ্জ।

৪১ বলে ১৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। রাজকীয় ইনিংসে ১০ চারের সঙ্গে মেরেছেন ১১টি ছক্কা। ক্রিস গেইলের পর বিপিএলের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা কোন ক্রিকেটার এখন তামিম।

শুরুতে তামিম ছিলেন শান্ত। পরিস্থিতি বুঝে সময়ের সঙ্গে মেলেন ডানা। তার ব্যাট হয়ে উঠে উত্তাল। ঢাকার কোন বোলারই তার সামনে সুবিধা করতে পারেননি। ব্যাটে ঝাঁজে দাপট দেখিয়ে সব আলো নিজের করে নেন দেশ সেরা এই ওপেনার। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য একদম ভালো হয়নি কুমিল্লার।  রুবেল হোসেনের দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন লুইস। বিপিএলে দারুণ খেলতে থাকা রুবেলের ভেতরে ঢোকানো বলে কাবু হন এই ক্যারিবিয়ান। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি তার।

ওয়ানডাউনে নেমে এনামুল হক বিজয় থিতু হতে সময় নেন। রান বাড়ানোর কাজটা তামিম নিজ কাঁধে তুলে নেওয়ায় চাপ বাড়েনি। ৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দুজনের মধ্যে গড়ে উঠে ৬০ বলে ৮৮ রানের জুটি। জুটিতে বেশিরভাগ রানই তামিমের। এনামুল ছিলেন কিছুটা নড়বড়ে। ১১ রানে কাজি অনিকের বলে পয়েন্টে রুবেলের কল্যাণে একবার বেঁচে গিয়েও পরে আর পারেননি। ৩০ বলে ২৪ রান করে সাকিবের বলে এলবিডব্লিওর শিকার তিনি। যদিও এর আগে রিভিউ নষ্ট না হলে বেঁচে যেতে পারতেন তিনি।

জীবন পান তামিমও। ২৪ রানে অনিকের বলে উইকেটের পেছনে তার কঠিন ক্যাচ ধরতে পারেননি নুরুল হাসান। তামিম পরে আর সুযোগ দেননি। ৩১ বলে ফিফটি তুলে কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়েছেন। ফিফটির পর ডানা মেলেছেন আরও।

খেলেছেন দারুণ সব শট। অফ স্পিনারকে স্লগ সুইপে সীমানা পার করেছে, এগিয়ে এসে মেরেছেন। পেসার রুবেলের বাউন্সার পুল করে ছাড়িয়েছেন সীমানা। রুবেলের এক ওভার থেকে দুটি করে চার ছক্কায় নেন ২২ রান।

আন্দ্রে রাসেলের বলে ছক্কা-চার মেরে পৌঁছান সেঞ্চুরিতে। ঠিক ৫০ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে আট চারের সঙ্গে তামিম মেরেছেন সাতটি ছক্কা। ৩১ বলে প্রথম পঞ্চাশে পৌঁছানো তামিম পরের পঞ্চাশ তুলেছেন আর মাত্র ১৯ বলে। রাসেলের ওভার থেকেও নেন ২২ রান। ইমরুলের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৪৫ বলে ১০০ রানের জুটি করেন তামিম। জুটিতে তামিম এতটাই আগ্রাসী ছিলেন যে ইমরুলের রান মাত্র ১৭।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স:   ২০ ওভারে ১৯৯/৩ (তামিম ১৪১*, লুইস ৬, এনামুল ২৪ , শামসুর ০, ইমরুল ১৭*;  রাসেল  ০/৩৭, রুবেল ১/৪৮, সাকিব ১/৪৫, নারাইন ০/১৮, অনিক ০/১৯, শুভাগত ০/১৪, মাহমুদুল ০/১২)

Comments