‘মাশরাফি ভাইয়ের কৌশল কাজে লাগিয়েছি’
৬১ বলে ১৪১ রানের ইনিংস খেলে আসর মাত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে একাই চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন তামিম ইকবাল। তার ব্যাটের রুদ্রমূর্তিতে ছিন্নভিন্ন ঢাকা ডায়নামাইটস লড়াই করেও থই পায়নি পরে। সেরা মঞ্চে এমন ব্যাটিং করার পর তামিম জানালেন মাশরাফি মর্তুজার কাছ থেকেই কৌশল রপ্ত করে নাকি তার এমন দাপট।
এবারের আগে পাঁচটি বিপিএল হয়েছে। মাশরাফি, সাকিবরা জয়ের উল্লাস করেছেন একাধিকবার। ফাইনাল মঞ্চে মাহমুদউল্লাহদেরও দেখা গেছে। কিন্তু এর আগে কখনো বিপিএলের ফাইনালে খেলা হয়নি তামিমের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে সাফল্যের খাতা ছিল না ভারি।
এবার শুরু থেকেই ফাইনাল খেলান পণ নিয়েছিলেন। অধিনায়কত্ব না করে চাপমুক্ত থেকে খেলতে চেয়েছেন নিজের খেলা। তবে চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য নাকি আসল কারণ মনস্তাত্ত্বিক এক চাপ জয়। আর এই মানসিক শক্তি তামিম পেয়েছেন মাশরাফির কাছ থেকে, ‘সত্যি কথা আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। মাশরাফি ভাইয়ের কৌশল ব্যবহার করছিলাম। উনি সব সময় একটা জিনিস বলে, আমি জানি না কোথা থেকে পায়, সব সময় বলে ‘আমি জিতব, আমি জিতব, আমি জিতব’। এই পুরো বিপিএলে আমার এই কৌশল ছিল। উনার থেকে কপি করেই পুরো বিপিএলের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত যাইহোক বলেছি আমরা জিতব। টেনশনে থাকলেই ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
টস হেরে আগে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুতে বেশ শান্ত ছিলেন তামিম। ক্রমেই খেলাটা ধরে নেন তিনি। উইকেটে ভাষা পড়ে চালাতে থাকেন সহজাত শট। ধীরে ধীরে ডানা মেলার পর উত্তাল হয়ে উঠে তার ব্যাট। তামিম নাকি ক্রিস গেইল, কে ব্যাট করছেন হচ্ছিল যেন এমন ভ্রমও। তামিম নিজেও বললেন এমন ইনিংস হয়ে যাবে তার কল্পনাতেও ছিল না, ‘আমি কখনই ভাবিনি এরকম একটা ইনিংস খেলব। ব্যাটিং নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই যে আমি পরিকল্পনা করেছি খুব সুন্দরভাবে। বারবার একটা কথাই বলছিলাম যে আমার সঙ্গে জুটি করছিল, সাকিব আর নারাইনকে উইকেট দেব না। পুরো ইনিংসে যদি দেখেন নারাইনকে একটা ছয় ছাড়া মনে হয় না কোন ঝুঁকি নিয়েছি। এই দুজন বোলার ওদের খুব ভাইটাল। ওদের সাফল্যের পেছনে ওরাই ছিল।’
Comments