বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪০ বছর উদযাপন
সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি বহু সংখ্যক শুভানুধ্যায়ীর অংশগ্রহণে উদযাপিত হয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪০তম বর্ষপূর্তি উৎসব। ‘আলোকিত মানুষ চাই’ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি লাখ লাখ তরুণ শিক্ষার্থীদের আলোকিত চিন্তা-ভাবনা ও পাঠ্যভ্যাসে উৎসাহিত করে যাচ্ছে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আমাদের চোখ খুলে দেওয়ার মতো নতুন এক আন্দোলন। বিশ্বব্যাপী যখন বই পড়ার অভ্যাস নিদারুণভাবে কমে আসছে, ঠিক সময়ের বিপরীতে দাঁড়িয়েই প্রতিষ্ঠানটি দেশের মানুষের মধ্যে পাঠ্যভাস তৈরির মাধ্যমে আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
গতকাল (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানটির মূলভবনে বৈচিত্র্যময় শোভাযাত্রা, গান, নাচ, স্মৃতিচারণ ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হয়।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, “স্বপ্নবান ও কল্পনাপ্রবণ নাগরিকদের উৎসাহিত করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যারা উচ্চ-নৈতিক মূল্যবোধ মেনে চলবে, আলোকিত হবে এবং দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করার জন্য অর্থপূর্ণ নেতৃত্ব দেবে।”
শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, “বিশ্বব্যাপী যখন বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে, সেই সময়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের মধ্যে পাঠ্যভাস জাগিয়ে তুলতে সংগ্রাম করছে। এটি একটি বড় সংগ্রাম এবং আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ এই সংগ্রামের একমাত্র যোদ্ধা।”
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের উদ্দেশ্যে দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক এবং প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, “সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য আমি তার চিন্তাভাবনাকে সম্মান করি এবং তার কাছের মানুষ হতে পেরে আমি গর্বিত।”
গতকাল সকালে রাজধানীর শাহবাগের গণ গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রভবনে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক রওনক জাহান, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানসহ অনেকে।
Comments