চুয়াডাঙ্গার ‘স্মার্ট স্কুল’
চুয়াডাঙ্গা জেলার পীরপুর গ্রামের ‘স্মার্ট স্কুল’-টি বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এতে রয়েছে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক।
এই পীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষে রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার, ডিসপ্লে মনিটর এবং সাউন্ড সিস্টেম। এগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্যে বসানো হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল।
সরকারি অনুদানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াসিমুল বারী গত নভেম্বরে এই আধুনিক সরঞ্জামের জোগান দেন।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানান, “বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদ্যালয়টির সংস্কার করা হয়। যাতে এখানে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে পড়ালেখা করতে পারে।”
সংস্কারের পর ৩৮০-র বেশি শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয়টিতে ভর্তি হয়েছে। আগে এর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১১৪ জন। বিদ্যালয়টিতে দ্বিতীয় শিফট চালু করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে বলেও জানান ইউএনও।
শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের জন্যে বিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন ঢাকা এবং খুলনার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, “এখানে পাঠদানের পুরো ব্যবস্থাটিই বদলে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়টিকে ঘিরে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।”
গ্রামের একজন কৃষক আবু হেনা তার আট বছরের ছেলে মুসাব্বিরকে এই বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, “আমার ছেলে এখন মনের আনন্দে বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিদিন স্কুলে যায়।”
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাজন আলী বলে, “আমাদেরকে বড় পর্দায় পড়ানো হয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন জিনিস দেখি। যা আমরা আগে কখনই দেখি নাই।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “প্রতিদিনই বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আসেন স্কুলটি দেখতে। তাদের বাচ্চাদের এখানে ভর্তি করার আগ্রহ দেখান।”
স্থানীয়দের এমন আগ্রহ দেখে ওয়াসিমুল বারী যারপরনাই খুশি। আর আশা বিদ্যালয়টি ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করবে। তিনি বলেন, “এটি মাত্র শুরু।”
পুরো বিদ্যালয়টি সিসিটিভির নজরে রাখা হয়েছে।
Comments