২০২০ সালে আংশিকভাবে খুলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: কাদের
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/elevated_expressway-dhaka.jpg?itok=P25mrOwp×tamp=1550058269)
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সড়ক) দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ হলেই যান চলাচলের জন্য তা আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রকল্পের প্রথম ধাপ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত এ বছরের জুনে, দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেল স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত আগামী বছরের জুলাইয়ে এবং তৃতীয় বা শেষ ধাপ মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হবে।”
অর্থাৎ মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জুলাইয়ে বিমানবন্দর থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পন্ন হলেই এই উড়াল পথে যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে।
আজ বুধবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা এলাকায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (পিপিপি) প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট এই প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছিল। তখন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেছিলেন ২০১৮ সালেই ঢাকায় উড়াল সড়কে চলবে গাড়ি। পরে এই প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছিল। আর আজ সড়ক ও সেতুমন্ত্রী জানালেন ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
সূত্র জানায়, উড়াল সড়কটির এ পর্যন্ত প্রথম ধাপের অগ্রগতি শতকরা ৫০ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ২০ ভাগ হয়েছে। ১৩০৪টি পাইল, ২৮০টি পাইল ক্যাপ, ৬২টি ক্রস-বিম, কলাম ১৬৩টি (সম্পূর্ণ) ও ৮৪টি (আংশিক) এবং ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও দুইটি স্প্যান আই গার্ডার স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে মিলিত হবে।
আজ পরিদর্শনকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের পরিচালক এ এইচ এম শাখাওয়াত আকতার এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাকসিথ সোয়ানাগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Comments