অমন গতির জবাব জানা ছিল না বাংলাদেশের
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে প্রথম ওয়ানডের গতি আর স্যুয়িংয়ে নাকাল হয়ে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রায় সব ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবির মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরে ৬২ রান করা এই ব্যাটসম্যানের উপলব্ধি কিউই পেসারদের দ্রুতগতির বলই কাল হয়েছে তাদের। এত গতির বল নিয়মিত খেলার অনভ্যাসই এই বিপর্যয়ের কারণ।
বুধবার নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরিদের স্যুয়িন, লুকি ফার্গুসেনের গতির জবাব দিতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। কিউই পেসারদের গতিতে বেশ ভুগতে দেখা যায় বাংলাদেশ। বোল্টের বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেয়ে হকচকিয়েও যান মুশফিকুর রহিম। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর এক পর্যায়ে ১৩১ রানে পড়ে ৭ উইকেট।
ওই অবস্থা থেকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে নিয়ে লড়ে দলকে দু’শো পার করান মিঠুন। তবু ছোট মাঠ আর ব্যাট করার জন্য দারুণ উইকেটে ওই রান ঠেকাতে পারেনি মাশরাফি মর্তুজার দল।
হারের একদিন পর সবচেয়ে বেশি রান করা মিঠুনের ব্যবচ্ছেদে প্রবলভাবে এল গতিতে অনভ্যস্ত কারণই, ‘ আমরা তো এরকম গতির বল খেলে অভ্যস্ত না। ১৫০ কি.মি তে বল করছে, প্রতি বোলার ১৪০কি.মির উপরে বল করছে। আমরা বাংলাদেশি কন্ডিশনে ১৩০ এ খেলে অভ্যস্ত। ওখান থেকে ১৪০-১৫০ কিমি খেলতে কিছুটা সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক।’
ফার্গুসেনের আগুনে গতি এসেছে ইনিংসের মাঝামাঝি। তার আগে তো স্যুয়িংয়েই কাবু বাংলাদেশ। মিঠুনও স্বীকার করলেন তা, ম্যাচ শেষ হয়ে যায় আসলে শুরুতেই, ‘ সবাই জানে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা নতুন বলে অনেক স্যুয়িং করায়। আমরা সেই স্যুয়িংয়ে অনেক বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলি। ওখানেই ব্যাকফুটে চলে যাই। তারপর ফিরে আসাটা কঠিন ছিল। কারণ খানিক পর পরই উইকেট পড়ছিল। যদি আমরা জুটি গড়তে পারতাম।’
শনিবার ক্রাইশ্চার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামতে হবে। ওই ম্যাচ হারলে হাতছাড়া হয়ে যাবে সিরিজ। প্রতিপক্ষের চেয়েও মিঠুন আপাতত কন্ডিশনকে দেখছেন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে। দুদিনের বিরতিতে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ঝাঁপাতে চান দ্বিগুণ উদ্যমে, ‘যেখানেই খেলি মানিয়ে নিতে পারা খুব দরকার। মানিয়ে নিতে না পারলে ভাল ফল আনার সম্ভাবনা খুবই কম। এই মানিয়ে নেওয়াটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ।’
‘প্রতি ম্যাচই নতুনভাবে নামতে হয়। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, ইতিবাচক ফল আনতে হবে।’
Comments