মাইলফলকের সামনে মুশফিক
প্রথম ম্যাচটা হেরে যাওয়ায় ক্রাইশ্চার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নামবে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে। দলের পরিস্থিতি বিবেচনায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বটেই। তবে ব্যক্তিগত কারণে মুশফিকুর রহিমের কাছে ম্যাচটা হতে আরও অন্যরকম। দেশের মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে যে দুইশতম ওয়ানডে খেলতে নামছেন তিনি।
দেশের হয়ে এর আগে দুশো বা তার বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড কেবল অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজার। চোট জর্জর ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ২০৩টি ওয়ানডে খেলা মাশরাফি ২০১টি খেলেছেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে। বাকি দুটি এশিয়া একাদশের হয়ে। মুশফিকের ১৯৯ ম্যাচের সবগুলোই অবশ্য বাংলাদেশের হয়েই।
সেই ২০০৫ সালে লর্ডসে টেস্ট দিয়ে কিশোর মুশফিকের পা পড়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তার এক বছর বাদে ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট পান লাল সবুজ জার্সি। একই ম্যাচে অভিষিক্ত সাকিব এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১৯৫টি ওয়ানডে।
তুখোড় প্রতিভা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা মুশফিক শুরুতে কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে এলেও পরে উইকেটকিপিংই করেছেন বেশিরভাগ ম্যাচে। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালও তার। কিপিং নিয়ে অনেকবার তেতো কথা শুনতে হলেও তার ব্যাটিং সামর্থ্য ছিল বরাবরই প্রশ্নাতীত।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার ব্যাটে বাংলাদেশ পেয়েছে জয়ের নিশানা। বর্তমান ওয়ানডে দলে মুশফিককে ভাবা হয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। চার নম্বরে তার কাছ থেকে সব সময়ই দলের প্রত্যাশা থাকে বিপুল।
১৯৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মুশফিক ১৮৫ ইনিংস ব্যাট করে ৩৪.৭৪ গড়ে করেছেন ৫৩৫১ রান। ৩২ ফিফটির সঙ্গে আছে ছয় সেঞ্চুরি। ১৬৪টি ক্যাচ আর ৪২টি স্ট্যাম্পিং করেছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরুতে ধুঁকলেও বাংলাদেশের এখানকার ভরসা মুশফিক গেল পাঁচ বছরে ওয়ানডেতে পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই গড়ে রান পাচ্ছেন।
২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৩৭টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দেন তিনি।
Comments