মিরাজের বিশ্বাস, সিরিজও জিতবে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে প্রথম ম্যাচে নেমেই রীতিমতো নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পেস-স্যুয়িংয়ে নাকাল হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। বোলাররা প্রতিপক্ষে ফেলতে পারেননি ধন্দে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাই বাংলাদেশের সামনে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ মনে করছেন এই জায়গা থেকে এমনকি সিরিজ জিতেও যেতে পারেন তারা।
শনিবার ক্রাইশ্চার্চে বাংলাদেশ সময় ভোররাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামবে বাংলাদেশ। নেপিয়ার থেকে ক্রাইশ্চার্চের কন্ডিশন আরও বিরূপ। সেখানকার ঠাণ্ডা কনকনে বাতাসে খেলাটা মোটেও সহজ নয়।
তবে কন্ডিশন যেমনই হোক, দলের হালচাল যাইহোক। ম্যাচের আগের দিন দলের হয়ে মিরাজ শুনিয়ে গেলেন তাদের মনের জোরের কথা, ‘আমরা এখনো বিশ্বাস করি যে আমরা সিরিজ জিততে পারব। একটি ম্যাচ হেরে গিয়েছি। আমাদের আরও দুটি ম্যাচ আছে। এই দুটি ম্যাচ জিতলে সিরিজ জিততে পারব। সে কারণেই কালকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি জিতলে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব।’
দুর্দান্ত ক্রিকেট খেললে জয় আসতেই পারে। তবে কেবল বিশ্বাস থেকেই তো সবটা আসে না। লাগে পরিকল্পনা। আগের ম্যাচে যেমন শুরুতেই একের পর এক উইকেট খুইয়ে ধসে গিয়েছিল বাংলাদেশ এবার সেই পতনটা রোধ করতে চায় বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারকেই তাই টিকে থাকার মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে প্রথম ১০ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা যদি টিকেও যাই, রান অল্প হলেও সমস্যা না। প্রথম ম্যাচে আমরা প্রথম ১০ ওভারে তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদের দ্রুত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এখন টপ অর্ডার যদি রান করে, প্রথম ১০ ওভার দেখে খেললে আমাদের সুযোগ থাকবে ভালো করার।’
নিউজিল্যান্ডের উইকেটে পেসাররাই রাখেন মূল ভূমিকা। তবু সাকিব আল হাসান থাকলেও বাংলাদেশের স্পিন বিভাগও থাকে ভরসার জায়গায়। সাকিব না থাকায় ঘূর্ণি বলের পুরো দায়িত্ব এবার মিরাজের কাঁধে। প্রথম ম্যাচে ৮ ওভার বল করে ৪২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। উইকেট থেকে স্পিনাররা ফায়দা পাবেন সামান্য। মিরাজ নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে রান আটকানোর তরিকায় সাফল্য খুঁজছেন,‘দেশে খেললে স্পিনারদের ওপর নির্ভর করা হয়। বিদেশে পেসারদের ওপর। সাকিব ভাই থাকলে অবশ্য অন্য হিসাব। অবশ্যই ভালো হতো। আত্মবিশ্বাস বেশি পেতাম। এখন এখানে আমাকে স্পিনারদের মূল ভূমিকাটা পালন করতে হচ্ছে। আমার মনে হয়, এখানে স্পিনারদের যে রোল, সেটি হচ্ছে পেসারদের সাহায্য করা। এখানে স্পিনাররা বেশি টার্ন পায় না। উইকেটের সহায়তা পায় না। এখানে চেষ্টা করা যায়, যতটা সম্ভব রান কম দেওয়ার। এভাবে বোলিং করলে পেস বোলাররা উইকেট পেতে পারে। আমি মনে করি এখানে স্পিনারদের কাজ পেসারদের উইকেট পেতে সহায়তা করা।’
Comments