আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ভাই-ভাগ্নেসহ ৭ ইয়াবা চোরাকারবারি বদির আত্মীয়
ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি। কারণ- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সবকয়টি তালিকায় ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে বদি ও ইয়াবা গডফাদার হিসেবে তার ভাই-বোনসহ নিকটাত্মীয় অনেকের নাম উঠে আসে।
এছাড়াও, মাদক ব্যবসায়ীদের ‘স্বাভাবিক জীবনের ফেরার’ এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বদি। সম্প্রতি বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও মাইকিং করে ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম দেন তিনি। অন্যথায় কারও দায় নিতে পারবেন না বলেও জানান।
বদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার নিকটাত্মীয়সহ অনেকে আত্মসমর্পণের জন্য প্রায় একমাস আগে পুলিশি হেফাজতে চলে যান।
ফলে স্বভাবতই বহুল আলোচিত এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বদির অবস্থান কী হবে? অনুষ্ঠান মঞ্চে তিনি থাকবেন কী না? এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলে।
সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
কিন্তু, সমন্বয়ের দায়িত্ব বদি পালন করলেও টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ওই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের কোথাও বদিকে দেখা যায়নি।
তবে, আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের মধ্যে সাতজন বদির নিকটাত্মীয়। এরা হলেন- বদির চার ভাই আব্দুস শুক্কুর (৩৩), আমিনুর রহমান ওরফে আব্দুল আমিন (৪১), শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক (২৯) ও ফয়সাল রহমান (২৯)। এছাড়াও, বদির ভাগ্নে শাহেদ রহমান নিপু (৩৩), ফুফাতো ভাই কামরুল হাসান রাসেল (৩৫), খালাতো ভাই মং অং থৈন (৪৮) পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বদি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন। কেননা, নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে তার নাম আবারও তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
Comments