কলকাতায় শুরু হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব
কলকাতায় চার দিনের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হলো শুক্রবার সন্ধ্যায়। বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত আমাদের বঙ্গবন্ধু নামের একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী গৌতম দেব, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস-এর মহাপরিচালক রিভা গাঙ্গুলী দাস, চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান প্রমুখ।
এসময় অতিথির আসনে দেখা গিয়েছে অভিনেতা ফেরদৌস হাসান, জয়া আহসনের মতো তারকা শিল্পীদেরও।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে এসে শুনলাম আমাদের দেশের হিরো আলমও এখানে অনেক জনপ্রিয়। এটা হয়েছে ইন্টারনেট বলা ভলো ইউটিউবের জন্য। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীকে ইন্টারনেট এক জায়গায় নিয়ে এসেছে। এখন আর কোনও রাজনৈতিক সীমারেখা বা লাল ফিতের দৌরাত্ম কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আটকে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, দুই দেশের সংস্কৃতির আদান-প্রদানে আমাদের আরও কাজ করবে হবে। অপর এক বক্তার বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে দার্জিলিং জেলার বাগডোগরা বিমানবন্দরের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান যোগাযোগ স্থাপন করার বিষয়টি তিনি বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
অতিথির ভাষণে জয়া বলেন, দুই বাংলার মধ্যে চলচ্চিত্র আদান প্রদান আরও সহজ হলে ভালো হয়।
ফেরদৌস বলেন, নন্দনের সঙ্গে তার হৃদয়ের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। হঠাৎ বৃষ্টি এই নন্দনের প্রথম রিলিজ হয়েছিল। তিনি মনে করেন, দুই বাংলার মধ্যে চলচ্চিত্র শিল্পকে বিকশিত করার জন্য সবার মতো সরকারের বড় ভূমিকা নিতে হবে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ চলচ্চিত্র বিনিময় নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, নির্মাতা হিসেবে মনে হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে মুদ্রা বিনিময়ের নিয়মটাই আগে জরুরি। কারণ চলচ্চিত্র একটা শিল্প। এখানে যারা অভিনয় করেন তারা তো পারিশ্রমিক পান সেই পারিশ্রমিকটা ভিন্ন দেশে যেতে হলে মুদ্রা বিনিময় সহজ হওয়া প্রয়োজন। সেটা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুব নেই।
চার দিনের এই উৎসবে দেখানো হবে বাংলাদেশের মোট ২৩টি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল হারুনের আমাদের বঙ্গবন্ধু, হুমায়ূন আহমেদের ঘেটুপুত্র কমলা, সাইফুল ইসলাম মানুর পুত্র, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের স্বপ্নজাল, তানভীর মোকাম্মেলের জীবনঢুলি, রওশন আরা নীপার মহুয়া সুন্দরী উল্লেখযোগ্য।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় এককভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে। তবে সার্বিক সহযোগিতায় যুক্ত রয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
Comments