জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে।
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেন সামনে নিয়ে আসছে, এটা ঘোলাটে। এটি তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু বলেনি। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।”

সেতুমন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, “এখনও তারা ক্ষমা চায়নি। এটা স্পেকুলেশনের পর্যায়ে, আলোচনার পর্যায়ে, গুজব-গুঞ্জনের পর্যায়ে সীমিত আছে। এখনও তারা অফিসিয়ালি ক্ষমা চায়নি।”

তিনি বলেন, “আমি গতকাল বলেছি, তারা ক্ষমা চাওয়ার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন না। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের যে বিচার চলছে, তা বন্ধ হবে না। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তাদের বিচার কাজ চলবে।”

জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিষয়ের ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়গুলো তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এ ধরনের খবর প্রকাশের পরও তাদের দলের ভেতরে যারা আছেন, তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারেন। সেটা তাদের বিষয়। এখনও তাদের কোনো বিষয়ই ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা ক্লিয়ার হোক, তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে।

জামায়াত নতুন নামে রাজনীতিতে আসতে পারে কিনা এমন কোন শঙ্কা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন নামে জামায়াত। নতুন বোতলে পুরনো মদ যদি আসে, তাহলে পার্থক্যটা আর কী। নতুন নামে পুরনো আদর্শই যদি থাকে, তাহলে তো একই কথা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী অবসরের কথা বলেছেন। এর আগেও তিনি অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের দাবির মুখে তিনি তা পারেননি। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই বলছেন, “আর কত? আমি তো অনেকদিন দায়িত্ব পালন করলাম।” বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই। সেই সঙ্গে তার কোনো বিকল্প সমসাময়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও নেই। ’৭৫ পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। তিনি সবাইকে এবং নিজেকেও অতিক্রম করে গেছেন। সেজন্য আমরা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাকে বলেন স্টেটসম্যান। তবে এই পাঁচ বছরে তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকেন, আমার মনে হয় তার বিকল্পের চিন্তাভাবনা নেই। পাঁচ বছর পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হবেন, অসমর্থ হবেন, এটা আমরা এই মুহূর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে চাইলেও সময় পরিস্থিতি তাকে ছাড়বে কি না, নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কি না সেটাও তো আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English
Gross FDI Flow to Bangladesh

Uncertainty shrouds business recovery

The uphill battle to restore confidence among the business community is progressing slowly as the Prof Muhammad Yunus-led interim government marks its second month in office.

14h ago