কুসল পেরেরার বীরত্বে শ্রীলঙ্কার অবিশ্বাস্য জয়
যখন নবম উইকেট পরে তখন টেস্ট জিততে শ্রীলঙ্কার চাই ৭৮ রান। তখন ৮৬ রানে ব্যাট করা কুসল পেরেরা একাই করলেন আরও ৬৭ রান, শেষ উইকেটে বিশ্ব ফার্নান্ডোর সঙ্গে গড়লেন ৭৮ রানের জুটি। রান তাড়ায় যে জুটি গড়ল বিশ্ব রেকর্ড। রোমাঞ্চকর ম্যাচে জিতল শ্রীলঙ্কা, আরও একবার জিতল যেন টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্যও।
ডারবানে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট লঙ্কানরা জিতেছে মাত্র ১ রানে। সব মিলিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে শ্রীলঙ্কার এটি মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট জয়।
চতুর্থ ইনিংসে ডেল স্টেইন , ভারনন ফিলান্ডারদের সামনে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ছিল ৩০৪ রানের। পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশ কঠিন। সে পথে দলকে একাই পার করে ১৫৩ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন কুসল জেনিত পেরেরা।
রান তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে লড়াই করার সম্ভাবনাতেও ছিল না শ্রীলঙ্কা। ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর পাঁচে নামা কুসল বদলে দেন ম্যাচের ছবি। সাতে নামা ধনঞ্জয় ডি সিলভার ৪৮ বাদে আর কেউ দেখাতে পারেননি নিবেদন।
লোয়ার অর্ডার ধসে পড়ে এক পর্যায়ে ২২৯ রানে নবম উইকেট হারায় লঙ্কা। পাকা ব্যাটসম্যানরা যা পারেননি, কুসলকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়ে শেষে পার্শ্ব নায়ক বনেছেন বিশ্ব ফার্নান্ডো। মহাগুরুত্বপূর্ণ ২৭ বল নিজেকে বাঁচিয়ে ৬ রান করেন তিনি। আরেক প্রান্তে এই সমর্থন কাজে লাগিয়ে ম্যাচ বের করে দেন কুসল।
শেষ উইকেট দুজন ৭৮ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে জেতান। রান তাড়ায় দশম উইকেটে এটিই সেরা জুটি। তারা ভেঙ্গেছেন ১৯৯৪ সালে ইনজামাম-উল-হক আর মুশতাক আহমেদের গড়া ৫৭ রানের জুটিকে। সেবার অমন জুটি গড়ে করাচি টেস্টে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন তারা।
লঙ্কানদের এমন জয়ে হিরো আগ্রাসী কুসল ২০০ বলের ইনিংসে ১২ চার আর পাঁচ ছক্কায় খেলেছেন তার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় এই ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৩৫
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৯১
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ২৫৯
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৮৩/৩) (লক্ষ্য ৩০৪) ৮৫.৩ ওভারে ৩০৪/৯ (ওশাদা ৩৭, কুসল পেরেরা ১৫৩*, ডিকভেলা ০, ডি সিলভা ৪৮, লাকমল ০, এম্বুলদেনিয়া ৪, রাজিথা ১, বিশ্ব ৬*; স্টেইন ২/৭১, ফিল্যান্ডার ১/১৩, মহারাজ ৩/৭১, রাবাদা ১/৯৭, অলিভিয়ের ২/৩৫, মারক্রাম ০/৪)
ফল: শ্রীলঙ্কা ১ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুসল পেরেরা
Comments