প্রথম ১০-১৫ ওভারের বিপদ কাটাতে চান তামিম

প্রথম দুই ওয়ানডেতেই একই রকম ভুলের চক্করে বিপদ হানা দেয় বাংলাদেশের ইনিংসে। আগে ব্যাটিংয়ে গিয়ে কিউই পেসারদের পেস-স্যুয়িং সামলাতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তালগোল পাকিয়ে শুরুতেই ম্যাচ থেকে তাই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর কেবল একপেশে লড়াইয়ে মানতে হয়েছে হার। সিরিজের হিসাব নিকাশে শেষ ম্যাচটা আনুষ্ঠানিকতার হলেও শুরুর ওই বিপদ দশা থেকে বেরুনোর ইচ্ছা ওপেনার তামিম ইকবালের।
Tamim Iqbal

প্রথম দুই ওয়ানডেতেই একই রকম ভুলের চক্করে বিপদ হানা দেয় বাংলাদেশের ইনিংসে। আগে ব্যাটিংয়ে গিয়ে কিউই পেসারদের পেস-স্যুয়িং সামলাতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তালগোল পাকিয়ে শুরুতেই ম্যাচ থেকে তাই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর কেবল একপেশে লড়াইয়ে মানতে হয়েছে হার। সিরিজের হিসাব নিকাশে শেষ ম্যাচটা আনুষ্ঠানিকতার হলেও শুরুর ওই বিপদ দশা থেকে বেরুনোর ইচ্ছা ওপেনার তামিম ইকবালের।

নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতে ৪৪ রানেই চার উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে দলের স্কোর ছিল ৫০/৪, ১৫ ওভার শেষে সেটা হয়-৫৯/৪। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও কাছাকাছি দশা। প্রথম ১০ ওভারে ৩২/২ থেকে ১৫ ওভার পর স্কোর দাঁড়ায় ৬৯/৩।

অর্থাৎ শুরুর পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান আসেনি, উলটো পড়েছে উইকেট। বাকিটা সময় দলকে টেনেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। দুই ম্যাচেরই দৃশ্যপট কাছাকাছি। বিপর্যয় কাটাতে কাটাতেই শেষ হয়ে যায় ইনিংস। অল্প পূঁজি করে পরে ঠেকানো যায়নি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের দাপট। করা যায়নি কোন লড়াই। 

দুই ম্যাচেই আরও অনেকের মতো ব্যর্থ হন তামিমও। প্রথম ম্যাচে ৬ বলে ৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও আউট হন ৫ রান করে, তবে এই পাঁচ রান করতেই তার লেগে যায় ২৮ বল।

তামিমের মতে উইকেট ছিল ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো। কিন্তু শুরুতে টিকতে না পেরেই দলের অবস্থা হয় বেহাল, ‘দেখেন সত্যি কথা বলতে প্রথম ম্যাচ বলেন, দ্বিতীয় ম্যাচ বলেন। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে তো উইকেটটা খুবই ভাল ছিল। ওদের যে দুটো বোলার আছে প্রথম ১০ ওভারে খুবই ভাল বল করে। আমরা ওই সময় চারটা উইকেট দিয়ে দিয়েছি। দ্বিতীয় ম্যাচেও উইকেট ভাল ছিল। ওই সময় বৃষ্টি আর আবহাওয়ার কারণে ওরা হেল্প পেয়েছে। কিন্তু উইকেট দারুণ ছিল। সেকেন্ড ইনিংসে যদি দেখেন, এমনকি আমাদের ১০-১৫ ওভার পর যদি দেখেন উইকেট খারাপ আচরণ করেনি।’

ডানেডিনে তৃতীয় ওয়ানডেতেও উইকেট থাকবে একই রকম। আগে ব্যাটিং পেলে শুরুর দিকে ভুগাবেন ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরিরা। ওই সময়টা রান কম হলেও টিকে থাকা বেশি জরুরী মনে করছেন তামিম, ‘আমার কাছে মনে হয় তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রথম দশ ওভার যদি আমরা ভাল ব্যাট করতে পারি। যদি উইকেট না হারাই তাহলে মাঝখানের ওভারগুলোয় চাপে রাখতে পারব। আমাদের যে ব্যাটসম্যান আছে সবাই সামর্থ্য রাখে।’

প্রথম দুই ম্যাচেই দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। মুশফিকুর রহিম তো বরাবরই দলের মূল ভরসাদের একজন। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে মিঠুনকে তৃতীয় ওয়ানডেতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, অনিশ্চয়তায় মুশফিকও। এই দুজন না থাকলেও উদ্বেগ বাড়াতে রাজি নন তামিম, ‘ইনজুরি খেলার অংশ। এটা হবেই, এটা নিয়ে বেশি ভাবলে চলবে না। হ্যাঁ একজন খুব ভাল ফর্মে আছেন, আরেকজন আমাদের দলে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ওরা যদি খেলতে পারে অবশ্যই তা ইতিবাচক। আর যদি না পারে তাহলে যেই বদলি আসবে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। এটা নিয়ে যদি কম ভাবি তাহলেই ভাল হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago